ঢাকা মঙ্গলবার, ৩রা ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১


বেবি তরমুজ চাষে শশীভূষনের আমিরের সাফল্য


১৭ অক্টোবর ২০২৪ ১১:০৯

ফাইল ফটো

চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানার আমির হোসেন প্রথমবারের মতো ‘ব্ল্যাক বেবি’ জাতের তরমুজ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন। চলতি মৌসুমে তিনি ১ লাখ ১০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন। তার খামারে এখনো ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার তরমুজ আছে। এসব তরমুজ চাষ করতে তাঁর খরচ হয়েছিল প্রায় ৫০ হাজার টাকা। শীতকাল ছাড়া বছরের যে কোনো সময় দুই থেকে তিনবার এই তরমুজ চাষ করা যায়।

প্রথমবারের মতো নিজের ২৪ শতক জমিতে ‘ব্ল্যাক বেবি’ জাতের তরমুজের বীজ বপণ করেন কৃষক আমির হোসেন, পল্লী-কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) এর অর্থায়নে এবং পরিবার উন্নয়ন সংস্থা (এফডিএ) এর সহযোগিতায় দুই মাসের মাথায় তিনি তরমুজের ভালো ফলন পেয়েছেন।

কৃষক আমির হোসেন, প্রতি কেজি বেবি তরমুজ ৮০-৯০ টাকা দরে তিনি বিক্রি করেন। এক একটি তরমুজের ওজন ২ থেকে ৫ কেজি। এছাড়াও এসব বেবি তরমুজ চরফ্যাশন সদর উপজেলার শশীভূষণ ও চরফ্যাশনের সদর রোড এলাকার ফলের দোকানগুলোতে পাওয়া যায়।

তরমুজ চাষি আমির হোসেন বলেন, আগে তিনি সবজি চাষ করতেন। বাজারে বিদেশি জাতের ‘ব্ল্যাক বেবি’ তরমুজ চড়া দামে বিক্রি হতে দেখে তাঁর আগ্রহ বাড়ে। তিনি বেসরকারি সংস্থা পরিবার উন্নয়ন সংস্থা (এফডিএ) এর সহযোগিতায় প্রথমবারের মতো এই তরমুজ চাষ করে লাভবান হয়েছেন। আগামী বছর ব্ল্যাক বেবি তরমুজ চাষ তিনগুণ বাড়ানো কথা জানিয়ে আমির হোসেন বলেন, তার এই সফলতা দেখে বাড়ির আশেপাশের অনেক মানুষ বেবি তরমুজ চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

চরফ্যাশন সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রোকনুজ্জামান তরমুজ চাষি আমির হোসেন এর বেবি তরমুজ ক্ষেত পরিদর্শন করে বলেন, চরফ্যাশন উপজেলার কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর এর পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পরিবার উন্নয়ন সংস্থা (এফডিএ) কৃষি সম্প্রসারনে মাঠ পযায়ে কাজ করছে। সাধারণ তরমুজের চেয়ে এই তরমুজ বেশি মিষ্টি ও সুস্বাদ। পরিবার উন্নয়ন সংস্থা (এফডিএ ) এর সার্বিক সহযোগিতায় উচ্চ মূল্যের এ ফসল আবাদ করার মাধ্যমে কৃষকের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। আমরা আশা করছি, চরফ্যাশন উপজেলায় এ তরমুজ অতি দ্রুত জনপ্রিয়তা পাবে।