ঢাকা সোমবার, ২০শে মে ২০২৪, ৭ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


তালতলীর সমুদ্রসৈকতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে পর্যটকরা


২৫ নভেম্বর ২০১৮ ০৫:৪৫

কি নেই এখানে! সবুজ ঘন ঝাউবন। সমুদ্রের জলরাশি। সূর্যাস্তের দৃশ্য আর সুন্দর ও মনোরম পরিবেশ, যা পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। এ রকমই এক দৃষ্টিনন্দন সমুদ্রসৈকতের নাম ‘শুভ সন্ধ্যা সমুদ্রসৈকত’। এটি বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইকোপার্ক-সংলগ্ন নলবুনিয়ার চরে অবস্থিত।

প্রতিদিনই এই স্পটে আসছে হাজার হাজার পর্যটক। সম্প্রতি মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশের ‘শুভ সন্ধ্যা সমুদ্রসৈকত’ চিহ্নিত করেন তালতলীর সদ্যবিদায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বদরুদ্দোজা শুভ। পর্যটক আকৃষ্ট করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় এই স্থানটি সুসজ্জিত করতে দারুণ ভূমিকা রাখেন তিনি। এ কারণে তার নামানুসারে স্থানীয়রা এ সৈকতের নাম দিয়েছেন ‘শুভ সন্ধ্যা সমুদ্রসৈকত’।

তালতলী উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের নলবুনিয়া এলাকার বঙ্গোপসাগর-সংলগ্ন পায়রা নদীর মোহনায় প্রায় চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিশাল ঝাউবনের মধ্যে শুভ সন্ধ্যা সমুদ্রসৈকত পিকনিক স্পটের অবস্থান। পরিবার কিংবা বন্ধুমহল নিয়ে ভ্রমণ কিংবা পিকনিক করার জন্য রয়েছে সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে যাবতীয় সুব্যবস্থা। অন্যদিকে সমুদ্রসৈকতে দাঁড়িয়ে দেখা যায় সূর্যাস্তের দৃশ্য। ঝাউবনেও ঘুরে বেড়ানোর ব্যবস্থা রয়েছে। ছুটি ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলের পরিচালক ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক আরিফুর রহমান জানান, সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখতে শুভ সন্ধ্যা পিকনিক স্পটে পর্যটকদের আগমন দিন দিন বেড়েই চলেছে। পর্যটকরা এখানে এসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে ফিরে যান। তাদের মাধ্যমে এই সৈকতের খবর ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। তাই নতুন নতুন পর্যটকের আগমনে মুখরিত হচ্ছে শুভ সন্ধ্যা পিকনিক স্পট।

নতুন আবিষ্কৃত এই সৈকতে পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধার জন্য ১০টি বড় বড় ছাতা আর ১০টি বসার সিটের ব্যবস্থা করেছে ছুটি ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেল। আগত পর্যটকদের রাতে থাকার জন্য তালতলীতে রয়েছে সুব্যবস্থা। এ ছাড়া নতুন প্রজন্মে যারা রাতভর সমুদ্রসৈকতে কাটাতে চান তাদের জন্য তাঁবু ও বারবিকিউ পার্টির ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানান আরিফুর রহমান। দূরদূরান্তের পর্যটকরা নৌ ও স্থলপথে এই স্পটে আসতে পারেন বলে তিনি জানান।

বরগুনার জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ বলেন, বরগুনায় পর্যটনের বড় সম্ভাবনা রয়েছে। প্রচারের অভাবে এত দিন শুভ সন্ধ্যা সমুদ্রসৈকত পর্যটকদের কাছে পরিচিতি পায়নি। আগে স্থানীয় উদ্যোগে ওই সৈকতে জ্যোত্স্না উৎসবের আয়োজন করা হলেও এবার শুভ সন্ধ্যা সমুদ্রসৈকতের পরিচিতি বাড়াতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আগামী ২৩ নভেম্বর ব্যাপক পরিসরে জ্যোত্স্না উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

এমএ