ঢাকা সোমবার, ২০শে মে ২০২৪, ৭ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


 গুঁড়িয়ে দেয়া হবে কক্সবাজারের সায়মন, সি গালসহ ২০টি হোটেল


২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৭:৫৯

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকায় হোটেলসহ অবৈধ সব স্থাপনা উচ্ছেদ করতে বলেছেন সর্বোচ্চ আদালত। আর এই নিয়ে ৫টি রিটের চূড়ান্ত রিভিউয়ের রায়ে ১৯৯৯ সালের পর নেয়া তারকা মানের হোটেল সাইমন বীচ রির্সোট, সি গালসহ বড় বড় বেশ কিছু হোটেলের লিজ বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ।

উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসারে, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত ভাঙতে হবে ২০টির বেশি বড় হোটেলসহ হাজারো স্থাপনা। তবে এখনো পর্যন্ত তেমন কোন কার্যক্রম শুরু হয়নি। আদালতের এমন রায়কে পরিবেশবাদীরা যুগান্তকারী বললেও সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ চান হোটেল মালিকরা।

জানা যায়-১৯৯৯ সালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পর্যন্ত এলাকাকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন হিসেবে ঘোষণা করেছিল সরকার। এই ঘোষণাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গত দুই দশক ধরে ঝিলংজা মৌজার এই সব জায়গায় গড়ে ওঠে বহু স্থাপনা।
সমুদ্র সৈকতের ঝিলংজা মৌজার ১৫ কিলোমিটারের এই জায়গার ৬টি পয়েন্টে গড়ে উঠেছে হোটেল-মোটেল, দোকান-রেঁস্তোরাসহ শত শত সহস্রাধিক। সম্প্রতি ৫টি রিটের চূড়ান্ত রায়ে ১৯৯৯ সালের পর নেয়া সব ইজারা বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। রায়ে গুঁড়িয়ে দিতে বলা হয়েছে এসব স্থাপনা। সর্বোচ্চ আদালতের এমন রায়কে যুগান্তকারী বলছে পরিবেশকর্মীরা। তাদের আশা, দ্রুত কার্যকর হবে নির্দেশনা।

কক্সবাজার সোসাইটির সভাপতি কমরেড গিয়াস উদ্দিন বলেন, এই রায় ঐতিহাসিক। কক্সবাজারের পরিবেশ রক্ষায় এই ধরণের রায়ের প্রত্যাশায় ছিলেন কক্সবাজারবাসী। কক্সবাজারবাসীর দাবি, এই রায় যেন দ্রুত বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেয়া হয়। এই রায় পরিবেশ সংকাপন্ন থেকে কক্সবাজারকে বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ইয়ুথ এনভায় রনমেন্ট সোসাইটির সভাপতি ইব্রাহিম খলিল মামুন বলেন, দীর্ঘদিন পর হলেও উচ্চ আদালত এই নির্দেশনা দেওয়ায় কক্সবাজার বাসীর পক্ষ থেকে আমি আদালতকে স্বাগত জানাই। পাশাপাশি এই রায় কার্যকর করার ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন আন্তরিক হলে এই রায় কার্যকর হবে।


পরিবেশবিদদের মত যুগান্তকারী এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন হোটেল মালিকেরাও। তাদের মতে আদালতের রায় অমান্য করার সুযোগ নেই। তবে এজন্য সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ আর পুনর্বাসনের দাবি তাদের। তবে কবে নাগাদ এই রায় কার্যকর কিংবা ওই এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে তা চূড়ান্ত হয়নি এখনো।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বুধবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে জানান-সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকায় হোটেলসহ অবৈধ সব স্থাপনা উচ্ছেদ সংক্রান্ত একটি রায় হয়েছে। তবে রায়ের কপি এখনো আমাদের (জেলা প্রশাসনের) হাতে এসে পৌঁছায়নি। রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পরেই আইন মেনেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।