মোহামেডানকে ৩০৪ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল আবাহনী
-2019-04-17-13-45-50.jpg)
ঢাকার অদূরে সাভারের বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে সুপার লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে চির প্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ৩০৪ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, সাব্বির রহমান এবং মোহাম্মদ মিঠুনের ফিফটিতে বড় সংগ্রহ পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
চব্বিশ ঘণ্টা আগে ঘোষিত জাতীয় দলের চার জন প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানের দল আবাহনী লিমিটেড- সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, সাব্বির রহমান আর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। প্রতিপক্ষ মোহামেডানে বিশ্বকাপ স্কোয়াডের একজন মাত্র ক্রিকেটার, লিটন দাস- যিনি আজ নেই একাদশে।
মূলত এই পাঁচ উইলোবাজের ব্যাটিং দেখতেই আজ সাত সকালে সাভারের বিকেএসপি চলে গেছেন জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। উদ্দেশ্য কে কেমন করে? তা নিজ চোখে দেখে নেয়া। প্রথম সেশনেই সৌম্য ছাড়া আবাহনীর বাকি তিন ব্যাটসম্যান সাব্বির, মোসাদ্দেক ও মিঠুন খেলেছেন সহজাত ভঙ্গিমায়, তুলে নিয়েছেন ফিফটি। যা কি-না নির্বাচকদেরও জন্যও স্বস্তির।
বিশ্বকাপ স্কোয়াডে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও সাব্বির রহমানের সুযোগ পাওয়া নিয়ে অনেকেই মৃদু আপত্তি তুলেছিলেন। আজ যেনো তাদের কড়া জবাবটাই দিয়ে দিলেন এ দুই তরুণ প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান। প্রমোশন পেয়ে তিন নম্বরে নেমে ঝড়ো ফিফটি করেছেন সাব্বির, নিচের দিকে দায়িত্ব নিয়ে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিয়েছেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক।
কম যাননি প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ডাক পাওয়া মোহাম্মদ মিঠুনও। মিডল অর্ডারে হাল ধরে তিনি কক্ষে রেখেছেন আবাহনীর ইনিংসকে। এর সঙ্গে বিশ্বকাপে প্রথমবার ডাক পাওয়া আরেক তরুণ মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ৩৫ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলে ভূমিকা রেখেছেন ফিনিশার হিসেবে।
তবে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি আবাহনীর। দুই ওপেনার জহুরুল ইসলাম ৪ এবং সৌম্য সরকার ১৭ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। তৃতীয় উইকেটে প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়েন ওয়াসিম জাফর এবং সাব্বির রহমান। দুজনের জুটিতে আসে ৭১ রান। আউট হওয়ার আগে ৩২ বলে ১৯ রান করেন জাফর।
তবে চলতি লিগে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন সাব্বির। মনে হচ্ছিলো হয়তো সেঞ্চুরিটাও করে ফেলবেন সহজাত মারমুখী এ ব্যাটসম্যান। কিন্তু ২০তম ওভারে বাঁহাতি স্পিনার রাহাতুল ফেরদৌস জাভেদের ডেলিভারিতে আউট হয়ে যান সাব্বির। তবে খেলেন ৫ চার ও ৪ ছক্কার মারে ৫৩ বলে ৬৪ রানের ঝকঝকে ইনিংস।
এরপর পঞ্চম উইকেটে ৯১ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ মিঠুন এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। দলীয় ২০০ রানের মাথায় শান্ত আউট হয়ে যান ব্যক্তিগত ৩৬ রান করে। মিঠুনের ব্যাট থেকে আসে ৬ চার ও ২ ছয়ের মারে ৫২ বলে ৫৬ রানের ইনিংস। তবে দুই রানের ব্যবধানে মিঠুন ও শান্তর উইকেট হারিয়ে খানিক বিপাকে পড়ে যায় আবাহনী।
সেখান থেকে দলকে ৩০৪ রানের বড় সংগ্রহ এনে দেয়ার পুরো কৃতিত্ব অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দীনের। ইনিংসের শেষ ওভারে রানআউটে কাঁটা পড়ার আগে ১০২ রানের জুটি গড়েন এ দুজন। ৫ চার ও ১ ছয়ের মারে ৫৪ রান করে অপরাজিত থাকেন সৈকত। সাইফউদ্দিন আউট হন ৪১ রান করে।
নতুনসময় / আইআর