ঢাকা শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১


ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড আলফাডাঙ্গার ২৪ গ্রাম


২৮ মার্চ ২০২৪ ১২:৪৬

সংগৃহীত

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড়ে দুইটি ইউনিয়নের অন্তত ২৪টি গ্রাম লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এতে শতাধিক বসতঘর বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ে চলতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ও বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে সংযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

বুধবার (২৭ মার্চ) দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলার পাচুড়িয়া ও বানা ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে অসংখ্য গাছপালা ভেঙে এবং উপড়ে পড়েছে।

অনেক জায়গায় সড়কের উপরে গাছ পড়ে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। ঝড়ের সময় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে অন্ধকার হয়ে যায় দুটি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম।

বানা ইউনিয়নের কঠুরাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ইমরান হোসেন বলেন, বানা ইউনিয়নের শিরগ্রাম, গড়ানিয়া, পাকুড়িয়া, টাবনী, টোনাপাড়া, শিয়ালদি চরপাড়া, জয়দেবপুর, আউশির হাট, কঠুরাকান্দি, মাজপাড়া, আড়পাড়াসহ অন্তত ১৫টি গ্রামে ভয়াবহ ঝড় আঘাত হানে। ঝড়ে কাঁচা-আধাপাকা ঘরবাড়ি, গাছপালা, পেঁয়াজ, রসুন, মশুর, ধনিয়া, ধান, গমের ক্ষেতসহ কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গ্রামগুলোতে বিদ্যুত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে পাচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমি এই মুহূর্তে ঢাকায় আছি। তবে শুনেছি আমার পাচুড়িয়া ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী বানা ইউনিয়নে ঝড়ে ৯টি গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খোঁজ খবর নিয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত তথ্য জানানো যাবে।

আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ বলেন, বুধবার রাত একটার দিকে ঘূর্ণিঝড়ে দুই ইউনিয়নের অন্তত ২৪টি গ্রামের প্রায় শতাধিক কাঁচা-আধাপাকা বাড়িঘর ও কয়েকশ গাছপালা উপড়ে যায়। বিস্তীর্ণ জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে। অনেকেই ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করা হয়েছে।

নতুনসময়/এএম


ফরিদপুর, আলফাডাঙ্গা, ঘূর্ণিঝড়, লন্ডভন্ড, ফসল, ক্ষতি