ভৈরবে ২০ লক্ষাধিক টাকার কারেন জাল জব্দ

নদ নদীতে দেশিয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং নিষিদ্ধ জাল বিক্রয় ও ব্যাবহার না করা হয় সে লক্ষ্যে বন্দর নগরী ভৈরব বাজারের বিভিন্ন জাল বিক্রির দোকানগুলোতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) শহরের চক বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে ২১ বস্তা কারেন্ট জাল জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এএইচএম আজিমুল হক। হাওর ও জলাশয়ে দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ এবং মা মাছ ও রেনু পোনা নিধন বন্ধে বিশেষ অভিযানের বিপুল পরিমাণের নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে।
এসময় উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয় বণিকসহ ভূমি অফিস ও পৌরসভার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এতে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ভৈরব শহর ফাঁড়ি থানা পুলিশের সদস্যরা।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, মাসব্যাপী সারা দেশে মা ইলিশ নিধন রোধে ভৈরবের নদী গুলোতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ ছাড়াও ভৈরব উপজেলার বিভিন্ন হাওরে/জলাশয়ে দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ এবং মা মাছ ও রেনু পোনা নিধন বন্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আজ ২৩ অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৩টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভৈরববাজারে জাল ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় শামসুল ইসলামের গোডাউন থেকে ১৮ বস্তা কারেন্ট জাল ও সাগর মিয়ার গোডাউন থেকে ৩ বস্তা কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত এই কারেন্ট জালের গুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য ২০ লক্ষ টাকা। পরবর্তীতে জব্দকৃত কারেন্ট জাল জনসমক্ষে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এএইচএম আজিমুল হক বলেন, কারেন্ট জাল ব্যবহার, ক্রয় বিক্রয় ও গুদামজাত করে বাজারজাত করতে সম্পূর্ণ নিষেধ করেছে সরকার। মৎস্য সংরক্ষণ ও সুরক্ষা আইনে বিশেষ অভিযানে দুইটি প্রতিষ্ঠান থেকে ২১ বস্তা নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। এসময় দুই প্রতিষ্ঠান মালিককে ৫ হাজার করে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।