ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১


সন্দ্বীপ থানার ভেতর থেকে জব্দকৃত মাটির ট্রাক উধাও


২৩ মার্চ ২০২৪ ২০:৫৮

সংগৃহীত

চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপের থানার বাউন্ডারির ভিতর থেকে রহস্যজনক ভাবে মাটি ভর্তি দুটি ট্রাক উধাও হয়েছে। ট্রাক দুটিকে গত বুধবার গভীর রাতে সন্দ্বীপ থানার পুলিশ আটক করেছিল। তবে অভিযোগ উঠছে, পুলিশের সাথে যোগসাজশের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হস্তান্তর ছাড়াই ট্রাক দুটি উধাও হয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ সারিকাইত ইউনিয়ন থেকে মাটি ভর্তি দুটি ট্রাক আটক করে। ট্রাক দুটি অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সারাদিন ট্রাক দুটি সন্দ্বীপ থানার বাউন্ডারির ভিতর জব্দ করে রাখা ছিল। এগুলোর একটি সবুজ এবং একটি লালচে রঙের ছিল। শুক্রবার সকাল থেকে মাটির ট্রাক গুলো আর থানায় দেখা যায়নি।

আটক ট্রাক দুটির মালিক স্থানীয় ব্যবসায়ী মাঈন উদ্দিন সওদাগর এবং রাসেল সওদাগর। সারিকাইতের ইসমাইল নামে একজন ট্রাকগুলো দিয়ে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করার জন্য পরিবহন করছিলেন।

বুধবার রাতে সন্দ্বীপ থানার পুলিশের এএসআই মাসুদ সারিকাইত ইউনিয়ন থেকে ট্রাক দুটি আটক করেন। পরদিন বৃহস্পতিবার তিনি সন্দ্বীপ থানা থেকে বদলি হন।

এএসআই মাসুদ বলেন, বুধবার রাতে মাটি ভর্তি দুটি ট্রাক আটক করে থানায় এনেছিলাম। বৃহস্পতিবার আমি সন্দ্বীপ থানা থেকে বদলি হয়েছি। এরপর আর কিছু বলতে পারছিনা।

আইন অনুযায়ী অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ট্রাক আটক করলে তা বিচারের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থাপন করতে হয়। কিন্তু পুলিশ আটক করা এই ট্রাক দুটি সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে কোন তথ্য প্রদান করেননি।

সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিগ্যান চাকমা বলেন, থানা আমাদের এই বিষয়ে কিছু জানায়নি। বিষয়টি খবর নিয়ে দেখছি।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুরাদ ইসলাম বলেন, ১৭ মার্চ অভিযান চালিয়ে দুটি ট্রাক আটক করে তাদের দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছি। এরপর আর কোন অভিযান পরিচালনা করা হয়নি।

শুক্রবার ট্রাকগুলো থানায় দেখতে না পাওয়ায় সন্দ্বীপ থানার পুলিশের ওসি কবির হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, মাটির ট্রাক সম্পর্কে আমি কিছু জানিনা। বিষয়টি দেখতে হবে।

তবে স্থানীয় পর্যায়ে অভিযোগ রয়েছে, কৃষি জমির টপ সয়েল, সরকারি খাল ও বেড়িবাঁধ এলাকায় বাইরের চরের খাস জমি থেকে রাতের অন্ধকারে মাটি কেটে বিক্রির কাজে ব্যবহৃত ট্রাকগুলোতে বিশেষ টোকনের ব্যবহার করা হয়। এই টোকন দেখালে পুলিশ গাড়ি ধরে না।

এছাড়াও ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থাপন করা ছাড়া রাতে ধরা মাটির ট্রাক অদৃশ্য কারণে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।

নতুনসময়/এএম


চট্টগ্রাম, সন্দ্বীপ, ট্রাক, উধাও, ভ্রাম্যমাণ আদালত, থানা