পুরোনো বিরোধের জেরে রাজ্জাক হত্যা, গ্রেপ্তার ২
 
                                চরমপন্থিদের অভ্যন্তরীণ পুরোনো বিরোধ, বিলের জমি ও মাছ ভোগদখল আর প্রভাব বিস্তার নিয়ে বিরোধের জেরে পাবনার চরমপন্থি সর্বহারা সাবেক সদস্য আব্দুর রাজ্জাক (৫৩) কে গুলি করে হত্যা করা হয়।
হত্যায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তারের পর এ তথ্য জানিয়েছে র্যাব। গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ভোররাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, পাবনা সদর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহিম প্রামাণিকের ছেলে রফিকুল ইসলাম ওরফে কাটা রফিক (৩৮) ও একই উপজেলার বাবুলচড়া গ্রামের মুকুল হোসেনের ছেলে সোহলে রানা (৩২)।
অপরদিকে, চরমপন্থি সর্বহারা দলের সাবেক সদস্য আব্দুর রাজ্জাক হত্যার ঘটনার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, আব্দুর রাজ্জাক হত্যার ঘটনায় নিহতের ভাই ইকবাল হোসেন বাদি হয়ে সোমবার (১৮ মার্চ) মধ্যরাতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে র্যাব-১২ পাবনার কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান জানান, হত্যাকাণ্ডের পর জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে র্যাবের একটি দল।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর উপজেলার মনোহরপুর এলাকা থেকে রফিকুল ওরফে কাটা রফিক এবং পৃথক অভিযানে বাবুলচড়া এলাকা থেকে সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের পাবনা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
হত্যার কারণ সম্পর্কে র্যাব-১২ কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান জানান, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে চরমপন্থিদের অভ্যন্তরীণ পুরনো বিরোধ, বিলের জমি ও মাছ ভোগদখল নিয়ে বিরোধ আর প্রভাব বিস্তার নিয়ে তাদের মধ্যে রেষারেষি ছিল। রাজ্জাক স্বাভাবিক জীবনে ফিরলেও সর্বহারাদের সাথে বিরোধ শেষ হয়নি। যার কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন আলী বলেন, র্যাব দুইজনকে সদর থানায় হস্তান্তর করার পর তাদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, রোববার (১৭ মার্চ) রাত সাড়ে দশটার দিকে সদর উপজেলার মানিকনগর বাজারে চায়ের দোকানে বসেছিলেন আব্দুর রাজ্জাক। এ সময় মোটরসাইকেলযোগে মুখোশধারী যুবক আব্দুর রাজ্জাককে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়।
এতে রাজ্জাকের পিঠের ডান দিকে এবং ডানহাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় পড়ে যান। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত রাজ্জাককে উদ্ধার করে দ্রুত পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, নিহত আব্দুর রাজ্জাক নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থি সংগঠন পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টির সদস্য ছিলেন। ২০১৯ সালে পাবনা জেলা স্টেডিয়ামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানের কাছে অন্যান্য চরমপন্থির সাথে আত্মসমর্পণ করেছিলেন।
নতুন সময়/এএম
চরমপন্থি, বিরোধ, পাবনা, সর্বহারা, হত্যা, গুলি

 
                 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                         
                                                         
                                                         
                                                         
                                                         
                                                         
                                                        -2024-09-02-09-55-40.jpg) 
                                                         
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            