ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১


ফ্রিডম খালেদের অপরাধ কর্মকান্ড বন্ধ হয়নি, এখনও চলছে চাঁদাবাজি


১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ১২:৩১

সাম্প্রতিক সময়ে ক্যাসিনোকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সর্বাত্মক অভিযানের পর টালমাটাল হয়ে পড়ে ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ড সহ দলের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামীলীগ নামধারীরা। প্রকাশ্যে থাকা দাগি প্রভাবশালী অপরাধীরাও আত্মগোপনে চলে যায়। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে মাঠ পর্যায়ের সন্ত্রাসীরা। নানা কুকর্মের নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া হয়ে পড়ে তাদের। এ অবস্থায় ফাঁকা আন্ডারওয়ার্ল্ড ও কথিত কুকর্মের বিভিন্ন অংশ দখলের নানা মেরুকরণ শুরু হয় শীর্ষ অপরাধী ও তাদের আনুগত্যদের মধ্যে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় শুদ্ধি অভিযানে গ্রেফতার হওয়া বহিস্কৃত যুবলীগ নেতা ফ্রিডম খালেদ ওরফে ল্যাংড়া খালেদের অস্ত্রধারী বাহিনী রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এখনও প্রকাশ্যে চালিয়ে যাচ্ছে মহড়া,চাঁদাবাজী,মাদক ব্যবসা,টেন্ডারবাজী, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।

রাজধানীর কমলাপুর,মতিঝিল, পল্টন, খিলগাঁও এলাকায় প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া চালানোর মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। এদের মাঝে উল্লেখ্যযোগ্য হলো কমলাপুরের দুই সহোদর ভাই একজন বিএনপি নেতা ইসমাইল হোসেন যিনি মতিঝিল থানা বিএনপির সহ সভাপতি ও ৮ নং ওয়ার্ড সভাপতি এবং অপরজন মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ কমলাপুরের শাকিল আহমেদ ওরফে টেন্ডার শাকিল। ইসমাইল হোসেন বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের ঘনিষ্ঠ সহচর।

কথিত আছে শাকিল আহমেদও সাবেক যুবদল নেতা ছিলেন। একসময়ে তিনি এলাকায় খুচরা চাল বিক্রেতা ছিলেন। পরবর্তীতে সুযোগ বুঝে ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন নেতাদের ছত্রছায়ায় তারা এখন কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন। দুইভাই মিলে দিনের পর দিন ওই এলাকার বাসিন্দা সহ কমলাপুর ও মতিঝিলের ব্যবসায়ীদের রক্ত চুষে খাচ্ছে সন্ত্রাসী খালেদ ওরফে ফ্রিডম খালেদ ওরফে ল্যাংড়া খালেদের নির্দেশনায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার অনেকে জানিয়েছেন শাকিল ও তার ভাই বিএনপি নেতা ইসমাইল কমলাপুরের আইসিডি (ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো), রেল সেক্টর, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সহ এলাকার স্থানীয় ব্যক্তিদের জিম্মি করে নানা ভাবে চাঁদাবাজি টেন্ডার বাজি দখলদারি সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গার্মেন্টস মালিক বলছে তার থেকে চাঁদা হিসেবে প্রতিনিয়ত নেওয়া হতো লক্ষ লক্ষ টাকা, দিতে না চাইলে করা হতো নির্যাতন এবং গার্মেন্টস তালা সহ কর্মীদের অত্যাচার করা হতো। বাস কাউন্টার গুলো থেকে নেওয়া হতো লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা । তাদের থেকে রেহাই পায়নি এলাকার কোচিং সেন্টার গুলোও। এরা জোর করে চাঁদাবাজি করছে কেউ কিছু বললে তাদের কাউকে মারছে না হয় অস্ত্রের ভয় দেখাচ্ছে।

রাজনৈতিক ক্ষমতার পালাবদলে এই দুই ভাই এভাবেই দিনের পর দিন চাঁদাবাজি করে আসছে। এমতাবস্থায় প্রশাসন যেন দেখেও না দেখার ভান করছে। তাই এই অঞ্চলের মানুষের দাবি ল্যাংড়া খালেদের পর তার সন্ত্রাসীদের হাত থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের সঠিক উদ্যোগ গ্রহন এবং এসব অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হোক।