বিবাহিত নারীদের পটানোর ৭ গোঁপন কৌশল!
আমাদের চারপাশে কিছু মানুষ আছে যারা বেশ বাকপটু। অফিসের কলিগ, পাশের বাসার ভাবি কিংবা বন্ধুর স্ত্রীদের প্রশংসায় মুগ্ধ করে তোলেন। মনে হতে পারে এগুলো শুধুই প্রশংসাবাক্য। কিন্তু এর গভীরে লুকিয়ে থাকে অসৎ উদ্দেশ্য।
১. ভাবি, আপনি দুই বাচ্চার মা! আপনাকে দেখলে কেউ বিশ্বাসই করবে না। দেখে মনে হয়, মাত্র ইন্টারপাস করছেন! সিরিয়াসলি! – এ কথা শুনে ভাবি তো আহলাদে আট দু’গুণে ষোলখানা। একটু লজ্জা পেয়ে ভাবি বলেন, সেই সময় কি আর আছে, বয়স হয়েছে না!
২. আপু, একটা কথা বলবো অনেকদিন থেকে ভাবছি! কিন্তু হ্যাজিটেশন করে বলা হচ্ছে না। আপনি এমনিতেই সুন্দর। কিন্তু নাকের পাশের তিলটা আপনাকে একদম পরী বানিয়ে দিছে। এত্ত সুন্দর। জাস্ট অসাধারণ লাগে! – আপু তো শুনে একদম কাত। বলেন, ‘অ্যাঁ সত্যি বলছেন। আপনি আসলে সমাঝদার লোক!
৩. মন খারাপ কেন ভাবি? ভাইয়া ঝগড়া-টগড়া করলো নাকি?… আপনার মতো এরকম একটা মানুষের সাথেও ঝগড়া করা যায়? বিশ্বাসই হচ্ছে না! ভাবি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন, ‘বইলেন না, আপনার ভাই কোনোদিন বোঝার চেষ্টাই করলো না।’
৪. একটা কথা বলি, কিছু মনে করবেন না তো? আপনার কণ্ঠটা এত্ত সুন্দর! কোনো প্রিয় গান বারবার শুনলেও যেমন বিরক্তি লাগে না, আপনার কথাবার্তার স্টাইলও এরকম। টানা ২৪ ঘণ্টা শুনলেও বোরিং লাগবে না! – একথা শুনে সুন্দর কণ্ঠওয়ালী তো আবেগে গদ গদ। বলেন, অ্যাঁ সত্যি বলছেন ভাই? এই শুনছো ( স্বামীকে উদ্দেশ্য করে), দেখো কি বলছে। তুমি বুঝলা না আমাকে।
৫. আপনি যা ইচ্ছা মনে করতে পারেন, আজ থেকে আপনাকে আর আন্টি ডাকবো না, বলে দিচ্ছি। হুঁ! দেখলে মনে হয় আবার বিয়ে দেয়া যাবে, আর আপনাকে ডাকবো আন্টি? নাহ, আর নাহ! আন্টিতো স্কুলপড়ুয়া মেয়ে হয়ে যান। বলেন, ‘যা , আমারতো লজ্জা লাগছে। এভাবে কেউতো কখনো বলেনি, তাই!
৬. একটা কথা বলবো? নীল শাড়িতে আপনাকে দারুণ মানাইছে!…না না, তেল দিচ্ছি না, সত্যি বলছি! সত্যি অনেকটা কোয়েল মল্লিকের মতো লাগে আপনাকে! -শুনে একেবারে ভিজে গেলেন। হাসতে হাসতে বলেন, ‘আপনার মুখে ফুল চন্দন পড়ুক।’
৭. জন্মদিনে কী কী করলেন আপনারা?….কি? ভাইয়ার অফিস?….কি যে বলেন!…. আমি এরকম একটা বউ পেলে জন্মদিন উপলক্ষ্যে এক সপ্তাহের ছুটি নিতাম!…হাইসেন না, সিরিয়াসলি! -শুনে তো থ। চোখ কপালে উঠে গেল। ধীরে ধীরে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন, ‘আমার ভাগ্যটাই খারাপ। আপনার মতন রোমান্টিক মানুষ পেলাম না!
কিছু কিছু পুরুষ আছে, যারা এভাবে কলিগ, ভাবি, বন্ধুর বউদের প্রশংসাবাক্যে প্রাণমন ভিজিয়ে ফেলে। আপাতদৃষ্টিতে এগুলো ‘জাস্ট প্রশংসাবাক্য’। কিন্তু এর গভীরে যে কত বড় লাম্পট্য আর অসৎ কামনা লুকিয়ে আছে, খেয়াল না করলে বোঝার উপায় নেই।
মূলত এখান থেকেই শুরু হতে নষ্টামির পথে অনন্ত যাত্রা! আর যারা এগুলো করে, এরা কিন্তু ফাঁদে ফেলবার জন্যেই করে! এদের স্বভাবই হলো ফ্লার্ট করে নিজের বশে আনা! খুব স্মার্ট সুদর্শন পুরুষ দেখলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নারীরাও এরকম ফ্লার্ট করে। এরা এসব পুরুষের মুখে প্রশংসাবাক্য শোনার জন্যই উদগ্রিব হয়ে থাকে।