বেনাপোলে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ২

যশোর বেনাপোলে অপরিকল্পিত রাস্তা খুড়া-খুড়ির কারণে বেনাপোলের বিশিষ্ট ট্রান্সেপোট ব্যবসায়ী ও আমদানীকারক আলহাজ্ব সাহাদত হোসেন (৫৫) নেদুসহ দু’জন নিহত হয়েছে। বুধবার সকাল ১১টার দিকে বেনাপোল পৌরগেটের থেকে একশ’গজ দুরে পিছন থেকে গ্রিনলাইন পরিবহনের ধাক্কায় তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। নিহত সাহাদত হোসেন নেদু বেনাপোল গাজিপুর গ্রামের মৃত্য আব্দুল সাক্তারের ছেলে। তিনি মৃত্যকালে ২ কন্যা সন্তান ও ১ পুত্র সন্তান রেখে গেছেন৷
অপরদিকে গতকাল দুপুর আড়াটার দিকে বেনাপোল পোর্টের সামনে একটি ট্রাকের ধাক্কায় আলি আকবার (৩৭) নামে এক ভ্যান চালক নিহত হয়। নিহত আলি আকবার বেনাপোল বড় আচড়া গ্রামের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বেনাপোল আমড়াখালী চেকপোষ্ট থেকে বেনাপোল বর্ডার পর্যন্ত বানিজ্যিক এলাকা হওয়ায় দিনের বেলায় এ রাস্তায় প্রচন্ড মানুষের চাপ থাকে। কিন্তু দিনের বেলায় রাস্তা সংস্কারের জন্য রাস্তার এক প্রান্ত অত্যন্ত ছোট হয়ে যাওয়ায় জীবনের ঝুকি নিয়ে মানুষের রাস্তা চলাচল করতে হয় প্রতিনিয়ত। যে কারণে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটে মানুষের জীবনহানী ঘটছে। অফিসিয়াল সময় বাদে যদি রাস্তা নির্মান করা হত তাহলে দূর্ঘটনার ঘটনা ঘটতো না এবং মানুষের জীবন হানিও ঘটতো না বলে জানান।
নিহতের শ্যালক সাংবাদিক সাইদুর রহমান জানান, বুধবার সকাল ১০টার দিকে আলহাজ্ব সাহাদ হোসেন নেদু পৌর গেটের পাশে তার নিজ জমিতে গোডাউন তৈরির কাজ পরিদর্শন শেষে বেনাপোল বাজারে আসার জন্য মটরসাইকেলে ওঠেন। এসময়ে পিছন থেকে গ্রিন লাইনের একটি বাস এসে ধাক্কা দিলে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান।
এলাকাবাসীর অভিযোগ আমড়াখালী বিজিবির চেকপোষ্টে পরিবহন তল্লাশির জন্য কার কার গাড়ী আগে চেকপোষ্টে সিরিয়ালে দাড়াবেঁ এই প্রতিযোগীতা করে বেনাপোল থেকে মারাত্বক ভাবে পরিবহনগুলো দ্রুত চালায়। এই কারনে অধিকাংশ সময়ে এস্থান গুলোতে দূঘর্টনা ঘটে।
নাভারণ হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনসপেক্টর রফিকুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে নাভারণ থেকে ঘাতক বাসটিকে আটক করা হয়েছে। তবে চালকও সহকারী চালক পালিয়ে গেছে বলে তিনি জানান।
বেনাপোল পোর্ট থানার এস, আই আব্দুল লতিফ জানান ব্যবসায়ী নেদুর লাশ ময়না তদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতালের পাঠানো হবে, এখনও মামলা হয়নি।