ঢাকা শনিবার, ৮ই নভেম্বর ২০২৫, ২৪শে কার্তিক ১৪৩২


মিসাইল উৎপাদন সক্ষমতা ব্যাপক হারে বাড়াচ্ছে চীন, দাবি সিএনএনের


৭ নভেম্বর ২০২৫ ২২:৪৬

সংগৃহীত

যুদ্ধ-সংঘাতে অস্থিতিশীল বিশ্ব; এরমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া দিচ্ছে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার হুমকি। শক্তিমত্তা প্রদর্শন ও অস্ত্র প্রতিযোগিতার এই লড়াইয়ে চীনও যে পিছিয়ে নেই তা উঠে এলো মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক অনুন্ধানী প্রতিবেদনে।

 

মার্কিন এই সংবাদমাধ্যমের তথ্য বলছে, গত পাঁচ বছরে মিসাইল উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যাপক সম্প্রসারণ করেছে চীন। ইউক্রেন, ইসরায়েলের মতো মিত্রদের মিসাইল সহায়তা দিয়ে যখন নিজেদের চাহিদা মেটাতে হিমশীম খাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, তখন চীনের চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত। স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নিজেদের ১৩৬টি ক্ষেপণাস্ত্র সংশ্লিষ্ট স্থাপনার মধ্যে ৬০ শতাংশেরও বেশি স্থাপনা সম্প্রসারিত করেছে বেইজিং।

 

সিএনএনের দাবি, মিসাইল উৎপাদনের সাথে জড়িত ৯৯টি সাইট শনাক্ত করেছে তারা। যারমধ্যে ৬৫টির আয়তন বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও গত পাঁচ বছরে দেশটির রকেট ফোর্সের অধীনে থাকা ৩৭টি ঘাঁটির মধ্যে ২২টি সম্প্রসারণ করা হয়েছে।

নানা তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সিএনএন দাবি করেছে, ২০২০ সালের পর এ পর্যন্ত, ২ কোটি ১০ লাখ বর্গফুট এলাকা সম্প্রসারণ করেছে শি জিন পিং প্রশাসন। তৈরি করা হয়েছে নতুন কারখানা, সমরাস্ত্র গবেষণা কেন্দ্র সহ নতুন নতুন স্থাপনা। বেশকয়েকটি ফ্যাসিলিটির জন্য বিভিন্ন গ্রাম, কৃষিও খালি করা হয়েছে।

 

২০১২ সালে ক্ষমতায় যাওয়া পর থেকেই সামরিক বাহিনীকে ঢেলে সাজাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। দেশটির সামারিক বাহিনীর মোট সক্রিয় সদস্য ২০ লাখের বেশি, যা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। তথ্যমতে, বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় দ্রুতগতিতে পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ বাড়াচ্ছে চীন। ২০২৩ সালের পো প্রতিবছর ১০০টি করে নতুন নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড যুক্ত হচ্ছে তাদের ভাণ্ডারে।