ঢাকা সোমবার, ৬ই মে ২০২৪, ২৪শে বৈশাখ ১৪৩১


সাশ্রয়ী মূল্যে সার সরবরাহের লক্ষ্যে বরাদ্দ ১৭ হাজার কোটি টাকা


৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:৪২

সংগৃহিত

কৃষক পর্যায়ে সাশ্রয়ী মূল্যে সার সরবরাহ অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ। তিনি বলেন, কৃষককে যাতে আমদানিমূল্যে সার ক্রয় করতে না হয়, সে লক্ষ্যে চলতি অর্থবছরে ১৭ হাজার কোটি টাকা উন্নয়ন সহায়তা বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে তিনি এ কথা বলেন।

বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর লিখিত প্রশ্নের জবাবে কৃষি মন্ত্রী জানান, আমদানিকৃত সার কৃষক পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত ভর্তুকিমূল্যে টিএসপি প্রতি কেজি ২৭ টাকা, এমওপি প্রতি কেজি ২০ টাকা এবং ডিএপি প্রতি কেজি ২১ টাকায় বিক্রয় করছে। ২০০৯ সালের পূর্বে প্রতি কেজি টিএসপি, এমওপি এবং ডিএপি সারের বিক্রয়মূল্য যথাক্রমে ৮০, ৭০ ও ৯০ টাকা ছিল।

মন্ত্রী আব্দুস শহীদ জানান, কৃষি উৎপাদন ব্যয় যাতে ব্যাহত না হয়, সে লক্ষ্যে সরকার সার ও কৃষি যন্ত্রপাতিতে উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করছে। সেচ ও ভালো মানের বীজ সাশ্রয়ী মূল্যে সরবরাহ করছে। বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ শীর্ষক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে হাওর ও উপকূলীয় এলাকায় ৭০ শতাংশ এবং অন্যান্য এলাকায় ৫০ শতাংশ উন্নয়ন সহায়তায় মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ করা হচ্ছে।

কৃষি কাজে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় কীটনাশকের মূল্য কমানোর কোনো পরিকল্পনা নেই দাবি করে কৃষি মন্ত্রী বলেন, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের ও পরিবেশ সুরক্ষার লক্ষ্যে কীটনাশকের ব্যবহার কমানোর প্রক্রিয়া চলছে। জৈব কৃষি ও জৈব বালাইনাশকের ব্যবহারসহ সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ফসলের রোগ ও পোকামাকড় দমন ব্যবস্থাকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। ফলে কীটনাশকের ব্যবহার প্রতিনিয়ত হ্রাস পাচ্ছে।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে কৃষিমন্ত্রী জানান, সমগ্র দেশের প্রান্তিক কৃষকদের এবং কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্যে ৫০টি প্রকল্প ধারণাপত্র (পিসিপি) যাচাই করা হচ্ছে, যা থেকে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। কৃষক ও কৃষির উন্নয়নে নতুন পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে- দুই কোটি ২৭ লক্ষ কৃষককে স্মার্ট কার্ড দেওয়া, ১০ লাখ কৃষককে উত্তম কৃষি চর্চার প্রশিক্ষণ দেওয়া, ৫০ লাখ কৃষককে সম্প্রসারণ সহায়তা, উন্নয়ন সহায়তা ও ঋণ সহায়তা দেওয়া, ২০ হাজার কৃষি উদ্যোক্তা সৃষ্টি, ১০টি অ্যাক্রেডিটেশন ল্যাব স্থাপন, ১০ লাখ হেক্টর জমিতে সেচ উন্নয়ন, দুই লাখ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের অ্যাডাপটেশন, ক্লাইমেট স্মার্ট ও কৃষির প্রবর্তন।