ঢাকা সোমবার, ২০শে মে ২০২৪, ৭ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে জখম


৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২৩:২০

বরগুনার আমতলী উপজেলা ছাত্রলীগ কমিটির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দের জের ধরে সবুজ ম্যালকার (২২) নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছে ছাত্রলীগ কর্মীরা।

উপজেলার পৌর শহরের একে স্কুল সংলগ্ন সড়কের একটি হোটেলের সামনে বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৭টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।

জানা গেছে, এ বছর ৯ এপ্রিল মোঃ মাহবুব হোসেন সভাপতি ও আবদুল্লাহ আল মামুনকে সাধারণ সম্পাদক করে আমতলী উপজেলা ছাত্রলীগ কমিটি ঘোষণা করে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগ কমিটি। এ কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই আমতলী উপজেলা ছাত্রলীগে প্রকাশ্যে দ্বন্দ চলে আসছে। এক পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বর্তমান সভাপতি মাহবুব হোসেন এবং অপর পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অলি আহমেদ ও মতিন। দু’গ্রুপ আলাদাভাবে দলীয় কর্মসূচী পালন করছে।

এ অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে বুধবার রাত সাতটার দিকে আমতলী পৌর শহরের একে স্কুল সংলগ্ন সড়কের একটি হোটেলের সামনে সবুজ ম্যালকার নামের এক ছাত্রলীগ কর্মীকে ২০/২৫ জন ছাত্রলীগ কর্মীরা কুপিয়ে জখম করে। আহত ছাত্রলীগ কর্মীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সংঙ্কটজনক অবস্থায় তাকে ওই রাতেই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ সাইমুন নামের এক ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, ১৫/২০ জন ছাত্ররা এসে সবুজকে মারধর করেছে।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার গৌরাঙ্গ হাজড়া বলেন, আহত সবুজের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশালে প্রেরণ করা হয়েছে।

আহত ছাত্রলীগ কর্মী সবুজ ম্যালকার মুঠোফোনে বলেন, ছাত্রলীগ সভাপতি মাহবুব আমাকে আমতলী সরকারী কলেজ কমিটির সভাপতি করবে বলে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। আমি এ টাকা দিতে অস্বীকার করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার রাতে ছাত্রলীগ সভাপতি মাহবুব ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লা আল মামুনের নেতৃত্বে রাসেল ও সাইমুনসহ ২০/২৫ জন আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

ছাত্রলীগ নেতা অলি আহমেদ জানান, ছাত্রলীগ সভাপতি মাহবুব ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে একজন ছাত্রলীগ কর্মীকে এভাবে কুপিয়ে আহত করবে এটা নিন্দনীয়। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং এর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাই।

আমতলী উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ মাহবুব হোসেন বলেন, সবুজ একজন মাদকসেবী। ও ছাত্রলীগের কোনো কর্মী না। ওকে আমার কোনো ছাত্রলীগ কর্মী মারধর করেনি। আমাকে ও আমার ছাত্রলীগ কর্মীদের হয়রানি করার জন্য একটি মহল মিথ্যা মামলা দেয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

বরগুনা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি অনিক জানান, আমি খরব পেয়েছি। এ ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি করা হয়েছে। ওই কমিটির প্রতিবেদন পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আমতলী থানার ওসি মোঃ আলাউদ্দিন মিলন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় সাইমুন নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

একেএ