বিয়ে ছাড়াই একসঙ্গে ১১ বছর!
এক বছর প্রেমের পর স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরের মাধ্যমে হয় বিয়ে। প্রায় ১১ বছর চলে সংসার। বিদেশে গিয়ে দুইজন সঙ্গে চাকরিও করেছেন, বসবাস করেছেন একই বাসায়। এরপর স্বামী জানালেন বিয়েই হয়নি তাদের সবকিছুই ছিল প্রতারণা ও জালিয়াতি।
সম্প্রতি পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। পিবিআইয়ের পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ২০০৬ সালের কথা। ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলে বেড়াতে গিয়েছিলেন মোসা. কাজল। সেখানে পরিচয় হয় ময়মনসিংহের ভালুকার জাকিরের সঙ্গে।
সেই থেকে প্রেম। ২০০৭ সালের ১০ জানুয়ারি জাকির ঢাকার একটি আদালতে কাজলকে নিয়ে গিয়ে পঞ্চাশ টাকার এক পাতার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। এরপর জাকির তাকে বলে বিয়ে হয়ে গেছে। প্রকৃতপক্ষে আইনজীবীর সিল, সই হলফনামা সবই ছিল নকল।
জাকির কাজলকে নিয়ে তাদের ঢাকার বাসায় গিয়ে বলে তাদের বিয়ে হয়েছে কোর্টে । জাকিরকে জামাই হিসেবে মেনেও নিয়েছে কাজলের অভিভাবকরা । এরপর তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে দাম্পত্য জীবন শুরু করে।
২০০৯ সালে জাকির দুবাই যায়। ২০১২ সালে জাকির কাজলকেও দুবাই নিয়ে যায়। ২০১৭ সালে ২৯ ডিসেম্বর কাজলকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয় জাকির।
২০১৮ সালে জানুয়ারিতে জাকির দুবাই থেকে ফিরে এসে কাজলের সঙ্গে আর যোগাযোগ করেনি। এরমধ্যে জাকির কাজলকে না জানিয়ে বিয়ে করে।
ফেব্রুয়ারি মাসে কাজল জাকিরের বিয়ের কথা জানতে পেরে প্রশ্ন করলে জাকির ধমক দিয়ে বলে ‘আমি তোমাকে বিয়ে করিনি’।
এ ঘটনার পর কাজল আদালতে মামলা করলে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব পড়ে পিবিআইয়ের ওপর। পিবিআইয়ের তদন্তে প্রমাণিত হয় হলফনামায় আইনজীবীর সিল-স্বাক্ষর সবই নকল। স্বামী- স্ত্রী হিসেবে বসবাস ছিল প্রতারণা।
মামলার তদন্তকারী পিবিআইয়ের পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মামলাটি তদন্ত করে প্রতারণার প্রমাণ পেয়ে আসামি জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে।
এসএমএন
