ঢাকা শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০


নাতি বলল, নানা দরজা বন্ধ করেন কেন...


৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৯:১০

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার বীরতারার পাঁচনখালীতে দেড় বছরের শিশু কন্যা ধর্ষণের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও পাশর্বর্তী মধুপুর উপজেলার গোলাবাড়ী ইউনিয়নের বেলুটিয়া গ্রামে উকিল নানার হাতে ৯ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে পাশের বাড়ির মৃত মেছের আলী সূত্রধরের ছেলে হাছন আলী (৪০) শিশুটিকে ঘরের ভেতর মাচার নিচ থেকে ইট বের করে দিলে দশ টাকা দেয়ার কথা বলে কৌশলে বাড়িতে ডেকে আনে। দশ টাকার লোভে শিশুটি ঘরের ভিতর মাচার তল থেকে ইট বের করতে থাকে। ইট বের করার একপর্যায়ে দু’একটি ইট বাকী থাকতেই হাছন আলী ঘরের দরজা হঠাৎ বন্ধ করে দেয়।

দরজা বন্ধ করে দিচ্ছেন কেন? আমি মাদ্রাসায় চলে যাব এ বলে শিশুটি ঘর হতে বেরুতে চেষ্টা করলে হাছন আলী মুখে ওড়না পেচিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করতে থাকে। ধর্ষণের এক পর্যায়ে হাছনের ছোট ভাই আঃ কাদেরের স্ত্রী কোন এক জরুরি কাজের জন্য হাছনকে ডাকতে গেলে ডাকা ডাকির একপর্যায়ে হাছন দরজা খুলে দিলে কাদেরের স্ত্রী শিশুটিকে উলঙ্গ ও অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পায়। পরে শিশুটির বাড়িতে খবর দিলে বাড়ির লোকজন এসে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনার পর থেকেই ধর্ষক হাছন আলী পলাতক অবস্থায় রয়েছেন। পরে ধর্ষিতার বাবা মোঃ ওয়াহেদ আলী ঘটনাটি গ্রামের মাতাব্বরগণ এবং ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে তারা সালিশি বৈঠক করে ঘটনাটি মীমাংসা করে দিবে বলে জানায়। তিনদিন পরেও ঘটনার কোন বিচার না পেয়ে ধর্ষিতার বাবা মধুপর থানায় এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। ধর্ষিতাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য সোমবার টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে ডাক্তারের রিপোর্ট অনুযায়ী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিশুটির বাবা মো. ওয়াহেদ আলী এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।

কেআই