ঢাকা সোমবার, ২০শে মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


রাজশাহীতে সাংবাদিক নজরুল ইসলাম জুলুর বিরুদ্ধে মানবন্ধনে ক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা


৮ মে ২০২৪ ১২:৩২

ফাইল ছবি

রাজশাহী মহানগরীর জিরো পয়েন্টে ৭ই মে রাজশাহী খুলিপাড়া( টিকাপাড়া) এলাকার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ও খুলিপাড়া কিশোর গ্যাং হোতা আজিজ তার সন্ত্রাসী কিশোর বাহিনী, এলাকার অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারী, মাদকসেবি সহ কিছু ভাড়াটে লোকজন নিয়ে রাজশাহীর একজন সিনিয়র সাংবাদিক মো: নজরুল ইসলাম জুলুর বিরুদ্ধে মিথ্যা বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

অনুসন্ধানে জানা যায় আজিজ খুলিপাড়া (টিকাপাড়া) এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী । তার ভাইয়েরা মাদকদ্রব্য বিক্রয় সহ চুরি, ছিনতাই, চাঁদবাজির মতো বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত। নানান অভিযোগে আজিজ ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে এক ডজনেরও বেশি মামলা রয়েছে। কয়েক বছর পূর্বে আজিজ এলাকায় ক্ষমতা বিস্তারের লক্ষ্যে ২০/৩০ জনের একটি দূধর্ষ কিশোর গ্যাং গঠন করে। এই কিশোর গ্যাংটি অত্র এলাকায় রীতিমতো ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। দিনের আলোতেই নির্ভয়ে কোনোরকম বাধা ছাড়াই এই গ্যাংটি ধারালো অস্ত্র নিয়ে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়। গতবছর ২২শে জুন আজিজ ও তার বাহিনী প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যার উদ্দেশ্যে অত্র এলাকার ৩ যুবক আলতাব, মনা ও মুকুল এর উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় আহত ঐ তিন যুবকের অবস্থা খুবই আশংকাজনক ছিল। আহতদের মধ্যে আলতাবের শারীরিক অবস্থা সবচেয়ে বেশি আশংকাজনক ছিল। আজিজ বাহিনী আলতাবের এক হাতের কব্জি ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে দেয় ও আরেক হাতের কয়েক আঙুল কেটে নেয়। আলতাবকে সহযোগিতা করার জন্য মনা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা মনাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে মারাত্মক জখম করে। আজিজ আলতাবের বিচ্ছিন্ন কব্জি তার সঙ্গে নিয়ে চলে যায় এবং পরবর্তীতে এলাকার একটি নার্সারিতে ফেলে দেয়। আরেক আহত মুকুলকে জনসম্মুখে আজিজ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী ঘিরে রেখে বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে ও মৃত ভেবে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায়। এ ঘটনায় আহত আলতাবের ছেলে বাদি হয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এই ঘটনার কিছু দিন পরেই আজিজ ও তার বাহিনী সংবাদ প্রকাশের জেরে স্থানীয় একজন সাংবাদিক নাজমুল হক কে তেরোখাদিয়া এলাকায় হামলা করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে৷ পরবর্তীতে সাংবাদিক নাজমুল হক বাদি হয়ে রাজপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এত লোমহর্ষক ঘটনা ঘটানোর পরেও আজিজ ও তার কিশোর গ্যাং থেমে যায় নি। মামলায় জামিনে মুক্ত হয়ে এসে আবারও পূর্বের চেয়ে বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠে। অত্র এলাকায় তাদের দাপট আরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। জামিনে মুক্ত হয়ে এসেই আজিজ ও তার গ্যাং মামলার বাদি সাকিব ও অন্যান্য আহতদের প্রায়ই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি প্রদান করছে। এমনকি আহত আলতাবের বাড়িতেও ভাঙচুর করেছে। প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকিতে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে আলতাব সহ অন্যান্য আহত ব্যক্তিরা বোয়ালিয়া মডেল থানায় আজিজ ও তার গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে ৫টি জিডি করে ও রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার মহাদয় বরাবর নিরাপত্তার জন্য লিখিত আবেদন করে বলেও জানা যায়। কিন্তু, এক অদৃশ্য অপশক্তির হাত আজিজের উপর থাকায় এই সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। আহত আলতাবের বাড়িতে আজিজ, দলবল নিয়ে আবারও মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হামলা করলে র‍্যাব-৫ এর একটি বিশেষ টিম আজিজ সহ তার গ্যাংয়ের কয়েকজন সদস্যকে হাতেনাতে আটক করে। খুলিপাড়া (টিকাপাড়া)এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি, মাদক কারবার, চুরি, চাঁদাবাজিসহ আজিজ ওবতার বাহিনীর বিভিন্ন অন্যায় ও অপকর্মের বিরুদ্ধে অত্র এলাকার বাসিন্দা ও রাজশাহীর সিনিয়র সাংবাদিক নজরুল ইসলাম জুলু অনেক বছর থেকেই তার পত্রিকার মাধ্যমে লেখালেখি করছে। সোচ্চার নাগরিক ও সংবাদকর্মী হিসেবে তিনি প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে এই কুখ্যাত সন্ত্রাসী আজিজ ও তার বাহিনীর বিভিন্ন অপকর্ম, প্রকাশ্যে মাদকদ্রব্য বিক্রয় ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর বিষয়টি অনেকবার অবগত করেছেন।

২০১৩ সালে সাংবাদিক নজরুল ইসলাম জুলু'র লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঐ বছরই আরএমপি'র তৎকালীন পুলিশ কমিশনার মহাদয়ের নির্দেশে আরএমপি'র তৎকালীন সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রেনিং) জনাব সাইফুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন আজিজ ও তার ভাই মজিদ, রানা, হিটলার বুলবুল, আজিজের শ্যালক রবিন, মজিদের শ্বশুর আব্দুর রব(বর্তমানে মৃত) খুলিপাড়া (টিকাপাড়া)এলাকায় মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িত। আজিজ ও তার পরিবারের মাদকদ্রব্য বিক্রয় ও আজিজের কিশোর গ্যাং এর উৎপাত এর বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে লেখালেখির জন্য সাংবাদিক নজরুল ইসলাম জুলু আজিজ ও তার গ্যাংয়ের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছে। তারা বিভিন্ন মাধ্যমে সাংবাদিক নজরুল ইসলাম জুলু ও তার পরিবারকে কে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেছে ও তার বাড়ির আশেপাশে ধারালো অস্ত্র নিয়ে সার্বক্ষণিক ঘুর ফির করছে বলেও জানা গেছে। এমন একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী গ্রুপ কীভাবে জিরো পয়েন্ট এলাকায় কোনোরকম পুলিশি বাধা ছাড়াই রাজশাহী মহানগরীর একজন সিনিয়র সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে মানববন্ধন আয়োজন করার বিষয়টি নিয়ে রাজশাহীর সাংবাদিক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সাংবাদিক নজরুল ইসলাম জুলু প্রায় তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় সুনামের সাথে কাজ করছেন। তিনি বর্তমানে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব ও জাতীয় পত্রিকা দৈনিক জবাবদিহি'র বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন। সাংবাদিক মহল প্রশ্ন তুলেছে সাধারণ মানুষ ন্যায্য দাবি-অধিকার জনগণের সামনে তুলে ধরার জন্য মানববন্ধন আয়োজন করতে চাইলে অনুমতি পায় না অথচ কুখ্যাত সন্ত্রাসী আজিজ কোনো রকম বাধা বা পুলিশের অনুমতি ছাড়াই সহজেই জিরোপয়েন্ট এলাকায় মাদকাসক্ত, চিহ্নিত ছিনতাইকারী ও সন্ত্রাসী কিশোর গ্যাং নিয়ে একজন সিনিয়র সাংবাদিক সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে মানববন্ধন আয়োজন করে! তারা প্রশ্ন তুলেছে এমন বিভ্রান্তিকর, অপপ্রচার করে একজন সিনিয়র সাংবাদিকের চরিত্র হননের অপচেষ্টা করা হলো, এক্ষেত্রে কী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো দায় নেই? পুলিশের ছত্রছায়ায় একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী গ্রুপের বাধাহীনভাবে মানববন্ধন করার ঘটনায় বিশিষ্ট সাংবাদিকরা সোশ্যাল মিডিয়াতে তাদের তীব্র প্রতিবাদ ব্যক্ত করেছেন।

যেসমস্ত সাংবাদিকরা তীব্র প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেছেন তারা হলেন সিনিয়র সাংবাদিক সুজা উদ্দিন ছোটন (এটিএন বাংলা), সিনিয়র সাংবাদিক পারিতোষ চৌধুরী আদিত্য (বাংলা ভিশন), ড. সাদিকুল ইসলাম স্বপন, (সহকারী মহাসচিব বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজে, ও বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি, দৈনিক আমার সংবাদ) রেজাউল হোসেন, (সাধারণ সম্পাদক বরেন্দ্র প্রেসক্লাব ও নিজস্ব প্রতিবেদক দৈনিক গণকণ্ঠ), সাংবাদিক নূরে ইসলাম মিলন ( নিউজ এডিটর দৈনিক উপচার ও বিভাগীয় সভাপতি জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা), সাংবাদিক শাহরিয়ার অন্তু (নিজস্ব প্রতিবেদক মাই টিভি ও সদস্য সচিব রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট ইউনিট), সাংবাদিক ওমর ফারুক(নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা প্রতিদিন ও অর্থ সম্পাদক, সাংবাদিক ইউনিয়ন), মাসুদ আলী পুলক ( সভাপতি রাজশাহী বিভাগ, মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি) সাংবাদিক মোস্তাফিজ রকি ( আরটিভি ), সৌমেন মন্ডল ( দৈনিক দেশ বাংলা), বিশাল, (সাংবাদিক রাজশাহীর আলো), জুয়েল আহমেদ ( সম্পাদক, প্রতিদিনের রাজশাহী ও সদস্য, ইউনাইটেড জার্নালিস্ট সোসাইটি, রাজশাহী), সুরুজ আলী ( সাংবাদিক, দৈনিক উপচার), বুলবুল হোসেন( স্টাফ রিপোর্টার দৈনিক বর্তমান কথা ও খবর২৪ঘন্টাডটকম), মাইনুল ইসলাম মুন ( দৈনিক আলোকিত ৭১ সংবাদ) মো: নুরকোতোবুল আলম ( চ্যানেল এস ও নতুন প্রভাত), লিয়াকত হোসেন (জাতীয় দৈনিক মুক্ত খবর), শাহীন ( সাংবাদিক, ভোরের দর্পন), আবীর হোসেন ( সাংবাদিক, নয়াদিগন্ত) সাংবাদিক সোহানুল হক পারভেজ, রেজা নাবিল ( সাংবাদিক, ডেইলি বিজনেস বাংলাদেশ), শাহজামাল ( সাংবাদিক, দৈনিক সোনার দেশ), রফিক( দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার), সাংবাদিক রায়হান (মুভি বাংলা) , নাজমুল ইসলাম ( রাজশাহী ব্যুরো প্রধান দৈনিক বর্তমান কথা) সহ প্রমুখ সাংবাদিকবৃন্দ সংবাদ প্রকাশের জেরে সিনিয়র সাংবাদিক নজরুল ইসলাম জুলু'র বিরুদ্ধে আপত্তিকর, মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে মানববন্ধন করার তীব্র প্রতিবাদ জানান। তারা সন্ত্রাসী আজিজ ও তার কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানিয়েছেন।