ঢাকা সোমবার, ৬ই মে ২০২৪, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১


সাংগু নদীতে ফুল ভাসিয়ে চাকমা-তঞ্চঙ্গ্যাদের বিঝু-বিষু উৎসব শুরু


১২ এপ্রিল ২০২৪ ১১:৫৯

সংগৃহিত

পুরাতন বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ভোরে বান্দরবানের সাংগু নদীতে ফুল বির্সজনের মাধ্যমে বান্দরবানে চাকমা সম্প্রদায়ের বিঝু ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের বিষু উৎসব শুরু হয়।

বাংলা বর্ষপঞ্জিকা অনুসারে বছরের শেষ দুদিন ও বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন চাকমারা ফুল বিঝু, মূল বিঝু ও গজ্জ্যাপজ্জ্যা এ তিন দিন বিঝু পালন করে থাকে। আগামী শনিবার (১৩ এপ্রিল) মূল অনুষ্ঠানে চাকমাদের ঘরে ঘরে হরেক রকমের মিশ্রনে পাজন রান্না করে পরিবেশন করা হবে। নতুন কাপড় পরিধান করে দলবেঁধে পুরো গ্রাম ঘুরে বেড়াবে তরুণ-তরুণীরা। তাছাড়া সাধ্য অনুসারে ঘরে ঘরে বিভিন্ন রকমের পিঠা তৈরি করে বন্ধু-বান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী,আত্মীয়-স্বজন এমনকি কারোর সঙ্গে অতীতে বৈরিতা বা ঝগড়া, মনোমালিন্য থাকলেও এদিন সবাই ভুলে গিয়ে একে অপরকে ক্ষমা করে দিয়ে নিজের বাড়িতে নিমন্ত্রণ করে পিঠাসহ হরেক রকম খাবার পরিবেশন করবে।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে বান্দরবানের সাংগু নদীতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা পানিতে ফুল বিসর্জন দিয়ে শুরু করে উৎসবের। এ সময় বিভিন্ন পাড়া ও গ্রামের তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা একত্রিত হয়ে পানিতে ফুল বির্সজন দিয়ে পুরাতন গ্লানি মুছে ফেলে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়।

এ সময় চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা কিশোর-কিশোরী, নর-নারী ও শিশুরা নতুন কাপড় পরিধান করে ফুল নিয়ে জল দেবতাকে পূজা করে এবং পুরাতন সব দুঃখ মুছে ফেলে আগামীদিনের অনাবিল সুখ শান্তির কামনা করে।

তিন পার্বত্য জেলা বিশেষ করে বান্দরবান পার্বত্য জেলায় বাঙালি ছাড়াও ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে, যা দেশের অন্য কোনো জেলায় নেই। ১১ জাতিসত্তার নানা বৈচিত্র্যময় জীবনধারা, সংস্কৃতির সম্মিলন উৎসবে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে।