ঢাকা সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১


নাটোরে স্কুল ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা, সহপাঠিসসহ ৪ জন আটক


২৯ মার্চ ২০২৪ ১২:১৬

প্রতিকি

নাটোরের নলডাঙ্গায় মো. হিমেল হোসেন (১৫) নামে এক স্কুল ছাত্রকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের সহপাঠিসহ ৪ জন সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দিনগত রাতে উপজেলার পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ও পরিত্যক্ত ভবনের ভিতর এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছেন।

নিহত হিমেল উপজেলার পিপরুল (সেন্টার) গ্রামের মোঃ ফারুক সরদারের ছেলে। সে পাটুল-হাপানিয়া স্কুল ও কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্র।

আটকরা হলেন- একই এলাকার পার্থ, মেহেদি, সজুন ও শিমুল। এদের মধ্যে পার্থ ও মেহেদী নিহত হিমেলের সহপাঠি বলে জানা গেছে।

নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ারুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টার দিকে পার্থ নামে সহপাঠি এক বন্ধু মোবাইল ফোনে হিমেলকে পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ও পরিত্যক্ত ভবনে ডেকে নেয়। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পান তার স্বজনরা। পরে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হলেও বাড়িতে না ফিরলে পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুজি শুরু করেন। কিন্তু কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে পরে তারা থানা পুলিশকে জানান।

ওসি জানান, ওই রাতেই নিখোঁজ হিমেলকে উদ্ধারে অনুসন্ধানে নামেন পুলিশ। পরে মোবাইল ফোনের সুত্র ধরে হিমেলের বন্ধু পার্থকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ও পরিত্যক্ত ভবনে রক্তাক্ত ও ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় হিমেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওসি মনোয়ারুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় হিমেলের অপর বন্ধু মেহেদী, শিমুল ও সুজন নামে আরো তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই হত্যাকান্ডের আসল কারন জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে নিহত হিমেলের মাথায় আঘাত, গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাকে মাথায় আঘাত ও চাকু দিয়ে খুচিয়ে রক্তাক্ত জখম করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এছাড়া তার মুখের ভিতর পলিথিন কাগজ ঢোকানো ছিল।

ওসি আরো বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

এদিকে হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এটি এম মাইনুল ইসলাম, পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কলিমুদ্দিন।