ঢাকা শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২১শে বৈশাখ ১৪৩১


কক্সবাজারের রামুর গহীন অরণ্যে অস্ত্র কারখানা


১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:৪৩

সংগৃহিত

কক্সবাজারে রামু উপজেলার ঈদগড়ের গহীন পাহাড়ি অরণ্যে ১৬ ঘণ্টার বেশি সময় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু অস্ত্র ও তৈরির সরঞ্জামসহ ৪ কারিগরকে আটক করা হয়।

তবে অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে পালিয়ে যান কারখানার মালিক ও অস্ত্র তৈরির প্রধান কারিগর মনিউল হক।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের ছগিরাকাটা তুলাতলী পাহাড়ে এ অস্ত্র কারখানার সন্ধান পাওয়া যায় বলে জানান র‍্যাব-১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন।

অস্ত্র তৈরির আটক কারিগররা হলেন-জাফর আলম, লাল মিয়া, মাঈন উদ্দিন ও শাহাব উদ্দিন।

সাজ্জাদ হোসেন বলেন, রামু উপজেলার ঈদগড়ের গহীন পাহাড়ি অরণ্যে দীর্ঘদিন ধরে কারখানা গড়ে তুলে অস্ত্র তৈরি করে আসছিল সংঘবদ্ধ একটি চক্র। মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অস্ত্রের কারখানার সন্ধানে র‌্যাবের একটি দল অভিযান শুরু করে। এক পর্যায়ে বুধবার ভোর ৫টার দিকে ঈদগড় ইউনিয়নের ছগিরাকাটা তুলাতলি এলাকায় একটি অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পায় র‌্যাব। এ সময় কারখানটিতে অবস্থানকারী দুই কারিগরকে আটক করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নিজেদের বসতঘর থেকে আরও দুই কারিগরকে আটক করা হয়।

অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের দেশীয় তৈরি ১০টি বন্দুক, ১০টি রাইফেলের গুলি, ১২টি কার্তুজ ও অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন ধরনের বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম।

র‌্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, আটকরা প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছে দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ে কারাখান গড়ে তুলে তৈরি অস্ত্র বিভিন্ন অপরাধীদের কাছে বিক্রি করে আসছিল। এলাকাটি দুর্গম পাহাড়ি হওয়ায় তাদের অপকর্ম আইন-শৃংখলা বাহিনীর নজরদারির বাইরে ছিল। আটকরা সন্ধান পাওয়া কারখানাটির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা আরও কয়েকজনের ব্যাপারে তথ্য দিয়েছে।

গহীন এ পাহাড়ি এলাকায় আরও কয়েকটি অস্ত্র তৈরির কারখানা থাকার তথ্যও রয়েছে বলে জানান সাজ্জাদ হোসেন।

তিনি জানান, আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে রামু থানায় মামলা করা হয়েছে।

নতুনসময়/আইএ