জ্বর-সর্দি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে যুবতীর মৃত্যু, ভাবিও একই লক্ষণে অসুস্থ

সীতাকুণ্ডে জ্বর-সর্দি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এক যুবতীর মৃত্যুর একদিন পর একই পরিবারে থাকা তার ভাবিও একই লক্ষণ নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও বিআইটিআইডি হাসপাতালের কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত হন। পরে তারা ভাবির নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যান। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সীতাকুণ্ডের কুমিরা ইউনিয়নের গুলআহম্মদ দেলীপাড়া এলাকার রস্তুম গাজীর মেয়ে পারভীন আক্তার (২৭) গত কয়েকদিন ধরে জ্বর-সর্দি-কাশি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ছিল। গতকাল বুধবার মেয়েটি হঠাৎ মারা যায়।
এদিকে পারভীনের মৃত্যুর পর একই লক্ষণে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তার ভাবি তসলিমা আক্তারও। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বর, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত হন। এসময় তারা বিষয়টিকে করোনার লক্ষণ সন্দেহ করে ফৌজদারহাট বাংলাদেশ ইনফেকশন অ্যান্ড ট্রফিক্যাল ডিজিজেস হাসপাতালে খবর দিলে সেখান থেকে সংশ্লিষ্টরা এসে তসলিমা আক্তারের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যান। আজ তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট প্রদান করা হবে।
এদিকে জ্বর-সর্দি ও ডায়রিয়ায় পারভীনের মৃত্যু ও তার ভাবির আক্রান্ত হবার খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় আতংক সৃষ্টি হয়। কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোর্শেদুল আলম চৌধুরী জানান, কুমিরার ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা পারভীন জ্বর-সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত ছিল। শেষে তার কয়েকবার পাতলা পায়খানা হয়ে সে মারা যায়। এরপর তারই আপন ভাবী তসলিমারও একই লক্ষণ দেখা যায়। বিষয়টি করোনাভাইরাস সন্দেহ হওয়ায় আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে জানাই। পরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা করোনার পরীক্ষার জন্য স্থাপিত বিআইটিআইডি হাসপাতালে খবর দিলে সেখান থেকে এসে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুর নবী রাশেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জ্বর-সর্দি-কাশি, পায়খানা নিয়ে একটি যুবতী মারা যাবার পর তার ঘরের আরো একজন একই লক্ষণে অসুস্থ হওয়ায় করোনা কিনা তা জানতে আমরা বৃহস্পতিবার বিআইটিআইডির মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ করে পাঠিয়েছি। শুক্রবার পরীক্ষার রিপোর্ট আসলে বোঝা যাবে আসলে তাদের কি হয়েছে।