উইন্ডিজের বিপক্ষে সামনে দাঁড়াতেই পারলো না পাকিস্তান

এ যেন অন্য এক পাকিস্তান। বলাই যায়, পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা ব্যাট চালাতে ভুলেই গেলেন। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে উইন্ডিজের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে একের পর এক উইকেট বিলিয়ে দিলেন ফখর জামান, ইনামুল হক, হারিস সোহেল, সরপরাজরা। আন্দ্রে রাসেল, জেসন হোল্ডার ও ওশানে থমাসদের বোলিং অ্যাটাকে ছন্দ হারিয়ে ফেলেন তারা।
সবাই মিলে উইন্ডিজদের টার্গেট দিলেন ১০৬ রানের। মাত্র ২১.৪ ওভারেই অল আউট হয়ে যান তারা।পাকিস্তানের ইনিংসটি একশর আগেই শেষ হওয়া যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। তবে শেষ মুহূর্তে টেল এন্ডারে খেলতে নেমে ওয়াহাব রিয়াজ ১৮ রান করে দলের সংগ্রহ তিন অংকের ঘরে নিয়ে যান। পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ফখর জামান ও বাবর আজম ২২ রান করে রান তোলেন।
ফাখর অবশ্য আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই খেলছিলেন। ১৬ বলে ২ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ২২ রান করা এই ব্যাটসম্যানের হেলমেটে বল লেগে সেটা পড়ে স্ট্যাম্পের উপর। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি।
পাকিস্তান তৃতীয় উইকেটটিও হারায় রাসেলের গতিতে। ১৪৫ কিলোমিটার গতির বলটিতে শট খেলতে একটু দেরি হয়ে যায় হারিস সোহেলের। ব্যাটে ছোঁয়া লেগে সেটি চলে যায় উইকেটরক্ষক শাই হোপের হাতে। ১১ বলে ৮ রান করে হারিস।
বরাবরের মতো বাবর আজম একটা প্রান্ত ধরে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন। তারও শেষ রক্ষা হয়নি। ওসানে থমাসের অফ সাইডে বেরিয়ে যাওয়া একটি বলে ড্রাইভ করে উইকেটের পেছনে হোপের দুর্দান্ত এক ক্যাচ হয়েছেন ৩৩ বলে ২২ রান করা এই ব্যাটসম্যান।
এরপরের কাজটা সেরেছেন জেসন হোল্ডার। ১৭তম ওভারে এসে সরফরাজ আহমেদ (৮) আর ইমাদ ওয়াসিমকে (১) ফিরিয়ে পাকিস্তানের ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্নটাও ভেঙে দেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক।
এরপর পাকিস্তান ব্যাটিংয়ের লেজটা মুড়ে দিতে আর সময় লাগেনি হোল্ডার-থমাসদের। ২০তম ওভারে এসে শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হাফিজ ২৪ বলে ১৬ রান করে থমাসের শিকার হন। নবম উইকেট হারায় পাকিস্তান।
দশম উইকেটে মোহাম্মদ আমিরকে নিয়ে ওয়াহাব রিয়াজ ১৩ বলে গড়েন ২২ রানের জুটি। তাতেই কোনোমতে একশর ঘর পেরোয় সরফরাজের দল। ১১ বলে ১টি চার আর ২টি ছক্কায় ১৮ রান করা ওয়াহাবকে বোল্ড করে পাকিস্তানের ইনিংসের যবনিকা টেনে দেন থমাস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে সফলও এই থমাস। ২৭ রানে ৪টি উইকেট এই পেসার। ৩টি উইকেট শিকার জেসন হোল্ডারের।
নতুনসময়/আইকে