হারারে টেস্ট ইনিংস ব্যবধানে আফগান বধ, এক যুগ পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয় জিম্বাবুয়ের

হারারেতে সিরিজের একমাত্র টেস্টে তিন দিনেই আফগানিস্তানকে ইনিংস ও ৭৩ রানে হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। ২৩৩ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে রোডেশিয়ান বোলারদের তোপে ১৫৯ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা।

 

২০১৩ সালে সবশেষ ঘরের মাঠে টেস্ট জিতেছিল জিম্বাবুয়ে। সেবার একই ভেন্যুতে সফরকারী পাকিস্তানকে ২৪ রানে হারিয়েছিল তারা। এরপর এক যুগ কেটে গেলেও ঘরের মাঠে সাদা পোশাকে জয়ের কীর্তি ছিল না তাদের। অবশেষে আফগানিস্তানকে ইনিংস ও ৭৩ রানে হারিয়ে সেই জয়খরা কাটাল ক্রেইগ আরভিনের দল।

 

বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, জিম্বাবুয়ে আজই ম্যাচ শেষ করতে চায়। খেলার আগে দলীয় ফটোশুটে সবাই প্রস্তুত ছিল জয়ের মুহূর্ত বন্দি করতে।

 

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান প্রথম ইনিংসে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট হয়। জিম্বাবুয়ের পেসার ব্র্যাড ইভান্স আগুনে বোলিংয়ে ২২ রানে ৫ উইকেট দখল করেন। সঙ্গী ব্লেসিং মুজারাবানি নেন ৩ উইকেট। আফগান ব্যাটারদের মধ্যে ইব্রাহিম জাদরান ১৯, আব্দুল মালিক ৩০ এবং রহমানুল্লাহ গুরবাজ ৩৭ রান করেন।

 

জবাবে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে তোলে ৩৫৯ রান। ওপেনার বেন কারেন টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করে খেলেন ১২১ রানের দারুণ ইনিংস। সিকান্দার রাজা যোগ করেন মূল্যবান ৬৫ রান। আফগান পেসার জিয়াউর রহমান শারিফি একাই শিকার করেন ৭ উইকেট।

 

২৩৩ রানের বিশাল ঘাটতি নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে আবারও ব্যর্থ হয় আফগান ব্যাটাররা। মাত্র ৪৩ ওভার টিকতে পেরেছে তারা, সংগ্রহ ১৫৯ রান। ইব্রাহিম জাদরান করেন সর্বোচ্চ ৪২ রান, বাহির শাহ যোগ করেন ৩২। এবার বল হাতে দাপট দেখান রিচার্ড এনগ্রাভা, ৫ উইকেট শিকার করেন তিনি। মুজারাবানি নেন আরও ৩ উইকেট।

 

উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকে এটি জিম্বাবুয়ের ১২৯তম টেস্ট ম্যাচ এবং মোট ১৫তম জয়। ইনিংস ব্যবধানে এটি তাদের মাত্র তৃতীয় জয় এবং ২৪ বছরের মধ্যে প্রথম এমন সাফল্য। আগের দুটি ইনিংস ব্যবধানের জয় যথাক্রমে ১৯৯৫ সালে পাকিস্তান ও ২০০১ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে।

---