আগে ২২ হাজার আর এখন ২২ লাখ পরিবারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ : মোস্তফা
রংপুর সিটি মেয়র ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেছেন, ‘আগে ছিল ২২ পরিবার, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ছিল। এখন ২২ লাখ লাখ পরিবারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হচ্ছে। যার কারণে আমাদের স্বাধীনতা বার বার আমরা নিজেরাই ভুলন্ঠিত করতেছি।
এসব দিকে আমরা সজাগ থাকবো। আমরা সচেতন ভাবে, সততার সাথে কাজ করবো। তাহলেই আমরা স্বাধীনতার যে মুল লক্ষ, আত্মত্যাগ ও সম্ভ্রব হানির মাধ্যমে অর্জিত যে লাল সবুজের পতাকা তা যেন কখনই কলংকিত না হয়, তার জন্য আমরা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবো।
সোমবার (২৬ মার্চ) স্বাধীনতা দিবসের ৫৩ বছর পূর্তিতে রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
জাতীয় পার্টির এই শীর্ষ নেতা আরও বলেন, ‘আমরা কেউ যেন জবাবদিহীতার উর্ধে না থাকি। যে যে দায়িত্বে আছি। আমরা প্রত্যেকটা মুহুর্ত যদি জবাবদিহী করি। দুর্নীতিবাজদের যেন আমরা পৃষ্ঠাপোষকতা না করি। আমাদের কেউ যেন খেটে খাওয়া বাঙ্গালীর হক কেড়ে নিয়ে কেউ যেদি লাখপতি থেকে কোটি পতি না হয় ‘
মোস্তফা বলেন, ‘আমি মনে করি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা আশা করি যে শর্তে স্বাধীনতা ঘোষণা হয়েছিল, প্রত্যেক মানুষের বাক স্বাধীনতা থাকবে। তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে। কথা বলতে পারবে। সেই রাইটসগুলো ইস্টাবলিষ্ট করার জন্য আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সচেস্ট হন। সেদিকে তিনি দৃষ্টি রাখেন।’
স্বাধীনতার ৫৩ বছরে এখন এটাই আমাদের চ্যালেঞ্জ। এটাই আমাদের বার্তা । যে সোনার বাংলা-নতুন বাংলা বিনির্মানে আমাদের সবাইকে সততার সাথে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।‘
মোস্তফা বলেন, ‘আমাদের আজকের যে লাল সবুজের পতাকা সেটার আনুষ্ঠানিক সূত্রপাত হয়েছিল এই দিনে। সেকারণে বাঙ্গালীর জাতীয় জীবনে এটা একটা ঐতিহ্য মন্ডিত দিন। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের কিছু শর্ত ছিল, যে কারণে সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালী ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল।
স্বাধীনতার স্বাদ বাঙ্গালীর ঘরে ঘরে পৌঁছবে। সোনার বাংলা তৈরি হবে। সেই সোনার বাংলা বিনির্মানে আমরা যে যে দায়িত্বে আছি। আমরা যদি সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করি। তাহলে জাতির জনকের যে স্বপ্ন সোনার বাংলা পরবর্তীতে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নতুন বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেগুলো তখনই বাস্তবায়ন হবে। যখন আমরা যে যে দায়িত্বে আছি। সেগুলো যদি সততার সাথে, নিষ্ঠার সাথে জবাবদিহীতার মাধ্যমে পালন করি, তাহলে আমাদের স্বাধীনতার স্বাদ প্রতিটি বাঙ্গালীর ঘরে ঘরে পৌছানো সম্ভব।’
এদিকে বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে সকাল থেকেই রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, বঙ্গবন্ধু মুরাল, সুরভি উদ্যানের শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ এবং মডার্ন মোড়ে অর্জনে মানুষের ঢল। জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ছাড়াও সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান শোভাযাত্রা নিয়ে এসে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, রেঞ্জ ডিআইজি আব্দুল বাতেন,মহানগর পুলিশ কমিশনার মোঃ মনিরুজ্জামান, ডিসি মোহাঃ মোবাশ্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরীসহ বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে গার্ড অব অনার প্রদান করে আইনশৃঙখলাবাহিনী। এছাড়াও স্টেডিয়ামে ডিসপ্লে এবং শিল্পকলা একাডেমিতে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়।
নতুনসময়/এএম
রংপুর, জাতীয় পার্টি, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, যুদ্ধ, স্বাধীনতা
