ঐক্যফ্রন্ট সম্পর্কে যে তথ্য দিল গোয়েন্দারা
বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে নির্বাচন বানচাল এবং ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করছে বলে একাধিক গোয়েন্দা সূত্র পূর্বাভাস দিয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, শেষ মুহূর্তে বিএনপি নানা অজুহাতে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে যেতে পারে বা সর্বাত্মক চূড়ান্ত আন্দোলনের ঘোষণা দিতে পারে।
গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, যাদেরকে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে তাদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা চলছে যে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। দলের নির্দেশ পেলে সঙ্গে সঙ্গে মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে হবে।
গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষে থেকে জোরালোভাবে বলা হয়েছে, যাদের মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে, তাদের সেই সঙ্গে মনোনয়ন প্রত্যাহারের ফরমে স্বাক্ষরও নিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তার মানে দাঁড়ায়, বিএনপি যে কোনো সময়ে নির্বাচন থেকে সরে গেলেও যেন ঐ সমস্ত প্রার্থীরা স্বতন্ত্র বা অন্য কোনোভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারবে না।
গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই বিরামহীনভাবে নির্বাচনের যাবতীয় কার্যক্রমের ত্রুটিবিচ্যুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট। অতিসম্প্রতি বিএনপির দ্বারা প্ররোচিত একজন আইনজীবী নির্বাচন নির্বাচন কমিশনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একটা রিট পিটিশনও দাখিল করেছে।
এদিকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল বলছে, একটা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার জন্য যে প্রস্তুতি এবং যে ধরনের কর্মসূচি দরকার সেরকম কোনো কর্মসূচি বা প্রস্তুতি বিএনপির এখন পর্যন্ত নেই। বিএনপি শুধু দেখাতে চাচ্ছে যে, তারা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। কিন্তু তারা একটা পর্যায়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না হওয়া, তাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এবং খালেদা জিয়াকে মনোনয়ন না দেওয়া ইত্যাদি ইস্যুতে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে গিয়ে সর্বাত্মক আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারে।
গোয়েন্দা সংস্থা আরও বলছে, বিএনপি নির্বাচনে না গেলে নির্বাচনের মাত্র সপ্তাহখানেক আগে ২২ ডিসেম্বর থেকে একটি বড় ধরনের সহিংসতা এবং নাশকতার মাধ্যমে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে বিএনপি প্রথম থেকেই নির্বাচন বর্জন করেছিল এবং নির্বাচন প্রতিহত করার ডাক দিয়েছিল। সেই সময়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা মনে করেছিলেন যে আন্দোলনটা দীর্ঘমেয়াদী করার কারণে বিএনপি সেখানে সফল হতে পারেনি। তাই এবার আগেভাগেই নির্বাচন বর্জন বা আন্দোলনের ডাক না দিয়ে কৌশলে এগোচ্ছে দলটি।