ঢাকা মঙ্গলবার, ৭ই মে ২০২৪, ২৫শে বৈশাখ ১৪৩১


জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ভয়ে অমূলক কথা বলে বিএনপি : বাহাউদ্দিন নাছিম


১১ নভেম্বর ২০২০ ০৬:২৪

সংগৃহিত

নির্বাচন নিয়ে তামাশা করা বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। তিনি বলেন, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নিয়মিত নির্বাচনে অংশ নেয়া এখন বিএনপির কাছে খেলা। এ সময় জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ভয়ে অমূলক কথা বলে বিএনপি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডি আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপ নির্বাচনের বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ঢাকা-১৮ তে বিএনপি প্রার্থী দলীয় ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় কারণ এই প্রার্থী বহিরাগত। আগে থেকে পরাজয় নিশ্চিত জেনে দলটি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ভয়ে অমূলক কথা বলে বিএনপি। বিএনপির প্রার্থী এই এলাকায় স্থানীয় নয়, তিনি হলেন এই এলাকার জামাই। এই প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়ায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাসায় ঢিল নিক্ষেপ করেছে নেতাকর্মীরা।

গণতন্ত্রকে ধারণ করে গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন নিয়ে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করছে। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সকলকে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে ভোটারদের প্রতি আহবান জানিয়ে নাছিম বলেন, আমরা আশা করবো যতদূর সম্ভব ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে যায়। তাদের প্রতি আমরা এ আহবান জানিয়েছি। আমাদের কর্মীরা সীমিতভাবে হলেও সে কর্ম চালিয়ে গেছেন। আশা করি এ নির্বাচনে আমরা অবশ্যই আশানুরূপ জনগণের সমর্থন পাবো।
আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী উত্তরা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও জনপ্রিয় একজন মানুষ। অন্যদিকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ওই এলাকার মানুষ নন, তাকে সবাই জামাই হিসেবে চেনে। তার বিরুদ্ধে ঢাকা শহরের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে সম্পৃক্ততার এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে পৃষ্ঠপোষকতার জনশ্রুতি রয়েছে। উত্তরা এলাকায় তার পক্ষে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের আনাগোনা ও জমায়েতও দেখা গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিল্পব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস, সদস্য মারুফা আক্তার পপি, সাহাবুদ্দিন ফরাজি।