ঢাকা শনিবার, ৪ঠা মে ২০২৪, ২১শে বৈশাখ ১৪৩১


রিটন হঠাৎ করে উড়ে এসে জুড়ে বসা নেতা নয়


১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০১:৪৮

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট: হঠাৎ করেই পদ পদবি বা সাংগঠনিক সুবিধা লাভের আশায় উড়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলে জুড়ে বসেননি সাবেক ছাত্র নেতা মাহফুজুর রহমান রিটন। বর্তমানে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক রহমান এর নির্দেশনায় দলের স্বার্থে কাজ করে চলেছেন। ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের অন্যতম বিএনপির জনপ্রিয় নেতা, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও এমপি জননেতা মিজানুর রহমান মিনুর হাত ধরে সময়ের পরিক্রমায় রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করছেন তিনি। ১৯৯৫ সালে রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের ক্লাস কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হওয়ার মধ্যে দিয়ে ছাত্রনেতা হিসেবে স্বীকৃতি পান। এরপর ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় ও ত্যাগি মনোভাবে কাজ করে এক সময় রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি হন। নগর

ছাত্রদলের সভাপতি থাকাকালে তিনি ছাত্রদলকে সুসংগঠিত করার জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। শুধু সুসময়ে নয় দুঃসময়েও তিনি দলের কর্মীদের সুসংগঠিত করতে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছেন। এ কারণে তাকে নানা ধরণের অত্যাচর নির্যাতন ও জেল জুলুমের শিকার হতে হয়েছে। তারপরও তিনি রাজনীতি থেকে একটু সময়ের জন্য পিছপা হননি। মূল সংগঠন বিএনপিকে শক্তিশালী করতে সব সময় তার ছিল অগ্রণী ভূমিকা।
ত্যাগী মনোভাব ও কর্মীদের সুখে দুঃখে পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন। ছাত্র রাজনীতি থেকেই তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি

রাজশাহী মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয়া ও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনের জন্য তিনি যুবদলের মতো একটি সংগঠিত জনপ্রিয় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হতে পারেন।
দলের দুঃসময়ে আন্দোলন সংগ্রামের সময় তিনি কখনো পিছনের সারিতে ছিলেন না। আন্দোলন সংগ্রামের সময় গ্রেফতার আতঙ্ক থাকলেও তিনি মিটিং-মিছিলে নেতাকর্মীদের নিয়ে সরব থাকতেন। নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে মিছিলের মাধ্যমে মানববন্ধন বা সভা সমাবেশে যোগ দিতেন। সেটা শুধু ছাত্র রাজনীতির সময়েও নয় যুবদলের সাধারণ

সম্পাদক পদে থেকেও তিনি কর্মীর ভূমিকায় দলের হয়ে কাজ করছেন।
চলতি বছরের মার্চের পর থেকে সারা পৃথিবীর ন্যায় বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে সংকট মুহূর্তে নেতাকর্মীসহ সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষেরও পাশে দাঁড়িয়েছেন রিটন। মানুষের বিপদে আপদে পাশে থাকার জন্য সাধারণ মানুষ ও দলের নিবেদিত কর্মীদের কাছে তিনি বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।
করোনার সময় নিজ অর্থায়নে কেনা খাবার সামগ্রী ও নগদ অর্থ দিয়েও তিনি মানুষের দ্বারে দ্বারে ছুটে বেড়িয়েছেন।
যুবদল নেতা মাহফুজুর রহমান রিটন ১৯৯৫ সালে প্রথম ক্লাস কমিটির সাধারণ সম্পাদক থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন দায়িত্ব সুনামের সাথে পালন করেছেন। তিনি যেসব দায়িত্বে ছিলেন সেগুলো হলো, ১৯৯৫ সাল -রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ ক্লাস কমিটির সাধারণ

সম্পাদক নির্বাচিত, ১৯৯৬-১৯৯৭ সালে ছাত্রসংসদে ক্রীড়া সম্পাদক, ১৯৯৮ সালে সিটি কলেজের ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক , ২০০০-২০০১ সাল -সিটি কলেজ ছাত্রদলের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, ২০০১-২০০২ সাল-শিক্ষাবর্ষে সিটি কলেজ ছাত্রসংসদে নির্বাচিত জি.এস, ২০০২ সালে রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, তারপরে ১/১১ এর সময় ভুমিকা রাখায় ২০১১ সালে মহানগর ছাএদলের সভাপতি হিসাবে

নির্বাচিত হন। দীর্ঘ ১৩ বছর রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের দায়ীত্ব পালন করেন।
২০১৩ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি (রাজশাহী বিভাগ) দায়িত্ব পান। ২০১৪ সালে রাজশাহী মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক হন। ২০১৭ সালের ২৭ এপ্রিল মাহফুজুর রহমান রিটনকে রাজশাহী মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন, আমি ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতিতে এসেছি। সব সময় ত্যাগের মন মানসিকতা নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করেছি। আমি দলের একজন কর্মী। সব সময় দলের নিবেদিত প্রাণ কর্মী ও সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে চাই। আমি হঠাৎ করে উড়ে এসে জুড়ে বসিনি। সাবেক ও এমপি জননেতা মিজানুর রহমান মিনুর

হাত ধরেই রাজনীতিতে এসেছি। দলের দুঃসময়েও সক্রিয় ভূমিকা রেখেছি ভবিষ্যতেও রাখতে চাই। করোনাকালীন সময়ে দলের কর্মীদের পাশে ছিলাম ও ভবিষ্যতেও থাকবো। সবার কাছে দোয়া কামনা করছি।


রিটন হঠাৎ করে উড়ে এসে জুড়ে বসা নেতা নয়