ঢাকা মঙ্গলবার, ১৩ই মে ২০২৫, ৩১শে বৈশাখ ১৪৩২


‘ধর্ষণের অসংখ্য নজির সৃষ্টি করেছে সরকার’


৮ জানুয়ারী ২০২০ ০৪:২১

আসন্ন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মনোনিত মেয়র প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন বলেছেন, এই সরকার ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ভোট চুরির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পরেই নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ধানের শীষে ভোট দেয়ার অপরাধে চার সন্তানের জননী গৃহবধুকে ধর্ষণের মাধ্যমে তাদের যাত্রা শুরু করে। এর পর সারাদেশেই একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও সরকার কোনো বিচার করছে না। একই সাথে সারা দেশে ধর্ষণের অসংখ্য নজিরও সৃষ্টি করেছে এই সরকার। জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় বিধায় এই সরকারের কোনো জবাবদিহিতাও নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দু’দিন আগে সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি নিরাপদ এলাকা কুর্মিটোলায় ঢাবির ছাত্রী ধর্ষণ ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ‘নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম’ আয়োজিত মানববন্ধনের অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। ইশরাক হোসেন বলেন, আগামীতে অনিরাপদ ঢাকাকে নিরাপদ শহরে পরিণত করতে চাই। একইসাথে নির্বাচনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে জোরদার করারও ঘোষণা দেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, এই সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নেই। রাতের আধারে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসায় সরকার জনগণের নিরাপত্তা দিতেও ব্যর্থ হচ্ছে। আগামী ৩০ জানুয়ারি নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিয়ে রাজধানীবাসী জনবান্ধন ও নগরবান্ধন মেয়র নির্বাচিত করবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ইশরাক বলেন, নারী ও শিশুদের জন্য সবচেয়ে অনিরাপদ শহর হিসেবে ঢাকা শহরের নাম এক থেকে পাঁচ নম্বরের মধ্যে এসেছে। আর এটি হয়েছে একটি অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণেই। তাই আগামীতে এই ঢাকা শহরকে একটি নিরাপদ ও বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেন তিনি।

রাষ্ট্রীয় সকল যন্ত্রকে সরকার জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে এমন অভিযোগ করে ইশরাক বলেন, প্রশাসনের কোনো একটি অংশকেও সরকার স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিচ্ছে না। বৃহৎ একটি আন্দোলনের অংশ হিসেবেই সিটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বিএনপি এমন তথ্য দিয়ে ইশরাক বলেন, আশা করি আগামী ৩০ জানুয়ারি নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীদের বিজয়ী করার মধ্য দিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি সংগ্রাম আরও ত্বরান্বিত হবে। আর নির্বাচনই হবে দেশে গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনের একটি পদক্ষেপ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য বেগম সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি নেতা আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, শরাফত আলি সপু, শিরিন সুলতানা প্রমুখ।

নতুনসময়/আইকে