শেখ হাসিনা সরকার দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দিয়েছে: গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকার দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দিয়েছে। তথ্য অধিকার আইন পাশ করে নাগরিকের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার দিয়েছে। বেসরকারি খাতে টেলিভিশনের লাইসেন্স উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
সোমবার (০৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে ২০তম টেলিভিশন রিপোর্টার্স অব বাংলাদেশে (ট্র্যাব) অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
উন্নয়নের কথা দেশের মানুষকে জানানোর আহ্বান জানিয়ে গণপূর্তমন্ত্রী গণমাধ্যমের উদ্দেশে বলেন, আমরা চাইনা টেলিভিশন চ্যানেলগুলো অন্ধের মতো সরকারের পক্ষে নিউজ করবে। কিন্তু নেতিবাচক সংবাদের পাশাপাশি দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার অপ্রতিরোধ্য গতির কথা গণমাধ্যমে তুলে ধরতে হবে। আমরা চাই শেখ হাসিনার সৃষ্টি গণমাধ্যমে আসুক। নিজের টাকায় সাহসদীপ্ত পদ্মা সেতুর সৃষ্টি, বিদ্যুতের জন্য কানসাটে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরিবর্তে কৃষকদের কৃষি সরঞ্জামাদি প্রাপ্তির কথা, আধুনিক বিশ্বের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশে টানেল, মেট্রোরেল, ছয় লেনের রাস্তা হওয়ার চিত্র, দুর্নীতির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সাহসী অভিযানের চিত্র গণমাধ্যমে উঠে আসুক-এটা আমরা চাই। এছাড়াও নারীর ক্ষমতায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাণান্তকর চেষ্টা সামনে নিয়ে আসতে হবে। তবে আমরা চাই সরকারের ত্রুটিও গণমাধ্যমে উঠে আসুক। কিন্তু একের পর এক নেতিবাচক সংবাদ হলে কর্মস্পৃহা, উদ্দীপনা ও উৎসাহ ব্যাহত হবে।
বাঙালি নিজস্ব সংস্কৃতিতে একসময় ভয়ঙ্করভাবে অপসংস্কৃতি ছোবল দিয়েছিলো উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “আমাদেরকে শেকড়ের সন্ধানে ফিরে যেতে হবে। অস্তিত্বের সন্ধানে যেতে চাইলে বাঙালিত্বকে খুঁজতে হবে। হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতিকে লালন করতে হবে।”
টেলিভিশন রিপোর্টার্স অব বাংলাদেশে (ট্র্যাব)-এর সভাপতি কাদের মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বেস্টওয়ে গ্রুপের চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী এবং ট্র্যাবের প্রধান উপদেষ্টা রাজু আলীম।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান এবং বিশিষ্ট লালন সংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীনকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয় এবং বিভিন্নক্ষেত্রে গুণী ব্যক্তিদের পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।