ঢাকা মঙ্গলবার, ১৩ই মে ২০২৫, ৩১শে বৈশাখ ১৪৩২


আ’লীগ ও বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: ফখরুল


২ জানুয়ারী ২০২০ ০৩:০৪

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন, আমরা নির্বাচনে গিয়েছি বার বার প্রমাণ করতে যে এই আওয়ামী লীগ সরকার এবং এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়। তিনি বলেন, মানুষ শুধু আমাদের প্রশ্ন করে আপনারা নির্বাচনে কেন গেলেন। আমরা শুধু নির্বাচনে গিয়েছি প্রমাণ করতে, যখন ১৪ সালে নির্বাচনে যাইনি তখন বলা হয়েছে আমরা ভুল করেছি। ১৪ সালে নির্বাচনে যাইনি তা প্রমাণ করতে ১৮ সালে নির্বাচনে গিয়েছিলাম। আওয়ামী লীগের অধীনে যে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না তা প্রমাণ করতেই নির্বাচনে গিয়েছি। এখন অনেকে প্রশ্ন করছেন ঢাকা সিটি নির্বাচনে কেন গেলেন। আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না এ কথা বারবার প্রমাণ করার জন্যই মেয়র নির্বাচনে গিয়েছি।

বুধবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে ছাত্রদলের ছাত্রদলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শীতের মধ্যে অত্যন্ত কষ্টে রয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি গতকাল খবর পেয়েছি তার জন্য একটি রুম হিটার দেওয়ার জন্য নিয়ে গিয়েছিল। ভয়ঙ্কর নির্মম এই সরকার সেই হিটারটাও অনুমতি দেয়নি। মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে এ সরকারের নেতারা লম্বা লম্বা কথা বলেন। বন্ধুক দিয়ে পিস্তল দিয়ে গায়ের জোরে ক্ষমতায় বসে আছেন। জনগণের সরকার তো তারা নন। জনগণ তাদের ভোট দেয়নি। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি রাস্তার মধ্যে একশ জনকে জিজ্ঞেস করেন ৯০ জন বলবে এ সরকারকে আমরা চাই না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনার ঐ পুলিশ প্রশাসন বাদ দিয়ে দেখুন মানুষ কি বলে। মানুষের চোখের ভাষা বুঝতে শিখুন। দেওয়ালের লেখাগুলো দেখুন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ২০২০ সাল যদি পরিবর্তনের বছর হয়, তাহলে ছাত্রদলকে দায়িত্ব নিতে হবে। এই সাল যেন হয় খালেদা জিয়ার মুক্তির বছর। গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার মুক্তির বছর। এই সাল যেন হয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার বছর।

ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন আলম বলেন, আমরা আমাদের কথা রাখতে পারিনি। আজকে মানুষ ছাত্রদল নিয়ে হাসাহাসি করে, বিএনপি নিয়ে হাসে। কারণ আমরা আমাদের নেত্রীকে মুক্তি করতে পারি নাই। মুখে আমরা অনেক কথাই বলি তা বাস্তবে পরিণত করতে হবে। অন্যান্য দল আইন ভেঙে মিছিল সমাবেশ করতে পারে। বিএনপির জন্য কেন এতো আইন, এই আইন ভাঙতে হবে।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আকরামুল হক প্রমুখ।