ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১


পি কে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলার রায় ৮ অক্টোবর


৪ অক্টোবর ২০২৩ ১২:৪০

ছবি সংগৃহীত

গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে করা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলায় রায়ের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। আগামী ৮ অক্টোবর রায় ঘোষণা করা হবে।

বুধবার (৪ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালত দুদক ও আসামিপক্ষের  যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের এ তারিখ ঠিক করেন।

দুদকের আইনজীবী মীর আহাম্মদ আলী সালাম এ তথ্য জানান।

আসামিদের মধ্যে সুকুমার মৃধা, অনিন্দিতা মৃধা, অবন্তিকা বড়াল ও শংখ বেপারী কারাগারে আছেন। এদিন শুনানিকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। পি কে হালদারসহ ১০ জন পলাতক রয়েছেন। পলাতক থাকায় তারা আইনি লড়াই করতে পারেননি।

পলাতক অপর আসামিরা হলেন- পি কে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।

আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে সক্ষম হয়েছে সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছে দুদক। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, দুদক অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। কাজেই তারা খালাস পাবেন।

২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।

মামলার এজাহারে বলা হয়, পি কে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। মামলাটি তদন্ত করে চার্জশিট দাখিল করে দুদক৷ চার্জশিটে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে প্রায় এক কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশটিতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

গত বছর ৮ সেপ্টেম্বর এ মামলায় চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১০৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।