ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১৬ই মে ২০২৪, ২রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


আ'লীগ নেতার গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় জেলে ১৫


৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:১৩

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বিশিষ্ট সমাজ সেবক এসএম মশিউর রহমান শিহাবের গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় ১৫ জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন আদালত।

সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর ) দুপুর ১২টার দিকে বরগুনার বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জাহিদুল ইসলাম তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বরগুনার তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে ঈদ উপলক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে বরগুনায় ফেরার পথে ২৫-৩০ জন সন্ত্রাসীরা এসএম মশিউর রহমান শিহাবের গাড়ি ভাংচুর করে। পরে এ ঘটনায় এসএম মশিউর রহমান শিহাব বাদি হয়ে বরগুনা বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আইন শৃংখলা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন (দ্রুত বিচার ) আইনের ২০০০ সংশোধিত ২০০৯ এর ৪/৫ ধারায় ১৮ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার জিআর নং ১৬০/২০১৭।

সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর ) ১ বছর পরে সেই মামলায় বরগুনা বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হলে দুপুর ১২টার দিকে ১৫ জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে বরগুনা বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জাহিদুল ইসলাম।

জেল হাজতে প্রেরণকৃত আসমীরা হলেন, তালতলী উপজেলার শাহজাহান বেপারীর ছেলে সাদ্দাম বেপারী (২৬), ইদ্রিম তালুকদারে ছেলে রাসেল তালুকদার (২৯), বরগুনা বালিয়াতলী ইউনিয়নের মনসাতলী গ্রামের দুলাল মৃধার ছেলে মোঃ সাথিক রুবেল (২৬),তালতলী উপজেলার টিএনটি রোডের আজাহার আলীর ছেলে ইউসুফ (২৬), কালামের ছেলে কাওসার (২৫), আলমগীরের ছেলে ইমাম (২৪),হামিদ ফরেষ্টারের ছেলে অলি (২১), শানুর ছেলে মাইনুল (২৩), জব্বার জোমাদ্দারের ছেলে জিয়া(২৮), ইউসুফ খানের ছেলে রিয়াজ (২৫), ফারুকের ছেলে শাকিল (২৪), শহিদের ছেলে বেল্লাল(২৫), স্বপন হাওলাদারের ছেলে প্রিন্স হাওলাদার (৩০), টুকুর ছেলে নাঈম ইসলাম (২২) ও সেন্দু মিয়ার ছেলে আলাল (২৭)।

এ ব্যাপারে এস এম মশিউর রহমান শিহাব বলেন, গত ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখ আমি প্রতি বছরের মতো ঈদ উপলক্ষে বরগুনার তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে বরগুনায় ফেরার পথে ২৫-৩০ জনের একদল সন্ত্রাসী বাহিনী এসে আমার কাছে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে অতর্কিতভাবে আমার গাড়ির ভাংচুর করে। এতে আমার ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এমনকি আমাকে ৭ দিনের মধ্যে ২০ লক্ষ টাকা না দিলে মেরে ফেলবে বলে হুমকিও দিয়েছে তারা।

আজ সোমবার ১ বছর পরে আমার মামলার আসামীরা বরগুনা বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হলে ম্যাজিষ্ট্রেট তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

একেএ