ঢাকা সোমবার, ১৭ই নভেম্বর ২০২৫, ৪ঠা অগ্রহায়ণ ১৪৩২


আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য আরও কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্যের আইন


১৭ নভেম্বর ২০২৫ ০৮:০৭

সংগৃহীত

আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য আরও কঠোর করা হচ্ছে যুক্তরাজ্যের আইন। নিজ দেশে সংঘাত-সহিংসতার শিকার হয়ে দেশটিতে পাড়ি জমাতেন অনেকেই। পাঁচ বছরের জন্য বসবাসের অনুমতি পেতেন আশ্রয়প্রার্থীরা। আবেদন করতে পারতেন স্থায়ী নাগরিক হওয়ার। তবে, জনগনের চাপের মুখে সেই নীতিতে পরিবর্তন আনতে চলেছে দেশটির ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি। পরিবর্তিত নীতিতে শরণার্থী মর্যাদার মেয়াদ ৩০ মাসে কমিয়ে আনা হবে। স্থায়ীভাবে যুক্তরাজ্যে বসবাসের অনুমতির জন্য আবেদন করার আগে অপেক্ষা করতে হবে অন্তত ২০ বছর।

 

উত্তাল সাগরের পদে পদে রয়েছে প্রাণনাশের ঝুঁকি। তবুও, ছোট ছোট নৌকায় করে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে দেখা যায় অগণিত মানুষকে। মূলত, নিজ দেশের লড়াই-সংঘাত থেকে বাঁচতে এভাবে যারা দেশটিতে পাড়ি জমান, তাদের সাধারণত শরণার্থীর মর্যাদা দিয়ে থাকে লন্ডন। ৫ বছর বসবাস করলেই মিলতো স্থায়ী নাগরিকত্বের সুযোগ। আর এসব কারণে বরাবরই আশ্রয়প্রার্থীদের পছন্দের শীর্ষে এই ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ।

 

তবে, এই অবৈধ অভিবাসন বন্ধে ব্যবস্থা নিতে চাপে আছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। দীর্ঘদিনের অভিবাসন নীতিতে পরিবর্তনের দাবিতে প্রায়ই ফুঁসে উঠছে স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, শরণার্থীদের বাসস্থান আর ভাতা দিতে সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এই নীতি পরিবর্তনের এজেন্ডা সামনে রেখে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ‘রিফর্ম ইউকে’ পার্টি।

 

এসব কারণে অভিবাসন নীতিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি। নতুন নীতিতে শরণার্থী মর্যাদার মেয়াদ ৩০ মাসে কমিয়ে আনা হবে। স্থায়ীভাবে যুক্তরাজ্যে বসবাসের অনুমতির জন্য আবেদন করার আগে অপেক্ষা করতে হবে অন্তত ২০ বছর।

 

খুব শিগগিরই এসব পরিবর্তন আনা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ। তিনি বলেন, কয়েক প্রজন্ম ধরে চলে আসা এই নীতি সংস্কার করবো আমরা। শরণার্থী মর্যাদাকে আমরা একটি সাময়িক প্রক্রিয়ায় রূপান্তর করছি। একইসাথে প্রতি দুই বছর ছয় মাস অন্তর তাদের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবো আমরা। সেই সময়ে যদি আপনার নিজ দেশের নিরাপদ হয়ে ওঠে তবে আপনাকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে। তবে, আপনি কাজের দ্বারা আমাদের দেশে অবদান রাখলে আগেভাগেই স্থায়ী বসবাস অর্জন করতে পারবেন।

 

প্রসঙ্গত, চলতি বছর জুন পর্যন্ত, দেশটিতে অবস্থানের জন্য আবেদন করেছেন প্রায় ১ লাখ ১০ হাজারেরও বেশি আশ্রয়প্রার্থী। এ বছর এখন পর্যন্ত ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছেন প্রায় ৪০ হাজার শরণার্থী।