কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বুলবুলের মরদেহ

সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের বীরসেনানী, প্রখ্যাত গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের মরদেহ। এসময় শহীদ মিনার চত্বরে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হয়েছে হাজারও মানুষ।
বুধবার (২৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে প্রথমে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এর পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও মুক্তিযোদ্ধারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সিনেমার গানের মধ্যে- ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে’, ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’, ‘কী আমার পরিচয়’, ‘অনন্ত প্রেম তুমি দাও আমাকে’, ‘তুমি আমার জীবন আমি তোমার জীবন’, ‘তোমার আমার প্রেম এক জনমের নয়’, ‘তুমি হাজার ফুলের মাঝে একটি গোলাপ’, ‘জীবনে বসন্ত এসেছে ফুলে ফুলে ভরে গেছে মন’, ‘ঘুমিয়ে থাকো গো স্বজনী’, ‘আমার হৃদয় একটা আয়না’, ‘ফুল নেব না অশ্রু নেব’, ‘বিধি তুমি বলে দাও আমি কার’, ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা হৃদয়ে সুখের দোলা’, ‘তুমি আমার এমনই একজন’ এবং ‘যারে এক জনমে ভালবেসে ভরবে না এ মন', ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
এছাড়া তার লেখা উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গান হলো- ‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’, ‘মাঝি নাও ছাইড়া দে ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে’, ‘সেই রেল লাইনের ধারে’, ‘সুন্দর সুবর্ণ তারুণ্য লাবণ্য’, ‘ও আমার আট কোটি ফুল দেখ গো মালি’, ‘মাগো আর তোমাকে ঘুম পাড়ানি মাসি হতে দেব না’, ‘একতারা লাগে না আমার দোতারাও লাগে না’, ‘আমার সারাদেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যেখানে’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন’, ‘আমি তোমারি প্রেমও ভিখারি’।
/আনু
সেখানে উপস্থিত রয়েছেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের ছেলে আসিফ ইমতিয়াজ মুন এবং দুই মেয়ে রোকসানা তানজিম মুকুল ও রোয়েনা হাসান মিতুল।
এছাড়া আরো উপস্থিত রয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, কণ্ঠশিল্পী মনির খান, শফিক তুহিনসহ মুক্তিযোদ্ধারা, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিরা।
এর আগে মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) ভোরে রাজধানীর আফতাব নগরে নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি হৃদযন্ত্রের জটিলতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর।
/আনু