গিটার জাদুকরকে বিদায় জানাতে প্রস্তুত চট্টগ্রাম

বাংলা ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুকে শেষ বিদায় জানাতে তার জন্মস্থান চট্টগ্রামে সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। ক্ষনজন্মা এই সংগীতকারের দাফন-কাফনের সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। ইতিমধ্যে চৈতন্যগলির বাইশ মহল্লা কবরস্থানে কবর খোঁড়ার কাজ শেষ হয়েছে। সেখানে মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন আইয়ুব বাচ্চু।
সদ্য প্রয়াত এই গিটার জাদুকরকে শেষবারের মতো একনজর দেখতে উদগ্রীব তার আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও ভক্তকুল। পরিবারের সদস্যরা জানান, শনিবার সকাল ১০টায় উড়োজাহাজে করে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ নিয়ে চট্টগ্রামে রওয়ানা দেবেন স্বজনরা। দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত মাদারবাড়ি এলাকার তার নানাবাড়িতে লাশ রাখা হবে। এখানে তাদের একান্ত আত্মীয়স্বজনরা তাকে শেষবারের মতো দেখার সুযোগ পাবেন। এরপর লাশ জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে জানাজার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে আসরের নামাজের আগ পর্যন্ত সর্বসাধারণ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের ব্যক্তিগত সহকারী রায়হান ইউসুফ বলেন, সঙ্গীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন সিটি মেয়রের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ চট্টগ্রামে আনা, জানাজা এবং দাফন পর্যন্ত পুরো কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করবে সিটি কর্পোরেশন।
বৃহস্পতিবার সকালে না ফেরার দেশে চলে যান আইয়ুব বাচ্চু। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে চট্টগ্রামের পটিয়ার খরনা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সকাল থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী ও ভক্তরা তার গ্রামের বাড়িতে ছুটে যান।
আইয়ুব বাচ্চুর স্মরণে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে শোক বই খোলা হয়েছে। শুক্রবার সকালে প্রেস ক্লাবের সামনে এ শোক বই খোলা হয়। এরপর থেকে তার ভক্তরা লাইন ধরে শোক বইয়ে বিভিন্ন আবেগঘন মন্তব্য লিখছেন। ভক্তরা জানান, সকাল থেকে শতাধিক মানুষ শোক বইয়ে বিভিন্ন শোকানুভূতি প্রকাশ করেছেন।
আরকেএইচ