ঢাকা রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


আমার জীবনটা তছনছ করে দিয়েছে : জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ


২০ জানুয়ারী ২০২৩ ০০:১৪

সুকেশ চন্দ্রশেখর জীবনটা নরক বানিয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। গতকাল বুধবার দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ কোর্টে ২০০ কোটি রুপি তছরুপের মামলায় হাজিরা দিয়ে এ অভিযোগ করেন তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জ্যাকুলিন বলেন, ‘সুকেশ চন্দ্রশেখর আমার জীবনটা নরক বানিয়ে দিয়েছিল। আমার ইমোশন নিয়ে খেলছিল। সুকেশ ও পিঙ্কি ইরানি একসঙ্গে আমাকে ঠকিয়েছে। পরে জানতে পারি যে, শেখরের আসল নাম সুকেশ। তখনই জানতে পারি ওর ক্রিমিনাল ব্যাকগ্রাউন্ডের কথা। পিঙ্কি এসব কিছুই জানত। কিন্তু কখনই আমাকে বলেনি। সুকেশ আমার ক্যারিয়ার শেষ করে দিয়েছে। সে আমার জীবন বিপর্যস্ত করে দিয়েছে।’

জ্যাকুলিনের দাবি, শুরুতে অভিনেত্রীর কাছে চন্দ্রশেখর নিজেকে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেন। তাদের দুজনের মধ্যে কথা শুরু হয়েছিল পিঙ্কি ইরানি নামক এক নারীর মাধ্যমে। সেই নারী জ্যাকুলিনের মেকআপ আর্টিস্ট শান মুথাথিলের মাধ্যমে অভিনেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি এই অভিনেত্রীকে জানান, সুকেশ চন্দ্রশেখর দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, ‘সুকেশ নিজের পরিচয়ে বলেন, তিনি সান টিভির মালিক ও জয়ললিতা তার আন্টি। চন্দ্রশেখর বলেছিল, ও আমার বড় ফ্যান। আমার দক্ষিণ ভারতেও সিনেমা করা উচিত। সান টিভির মালিক হিসেবে ও বলে যে, তাদের অনেক কাজ শিডিউল করা আছে। সেখানে একসঙ্গে কাজ করা যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দিনে তিনবার আমরা ফোনে ও ভিডিও কলে কথা বলতাম। সুকেশ কখনই জেলে থাকার বিষয়টি জানায়নি। একটা কর্ণার থেকেই তিনি ভিডিও কল করতেন। সেখানে একটা সোফা রাখা ছিল আর পিছনে ছিল পর্দা। এমনকি সুকেশের কথা অনুযায়ী, দিল্লির এক লেখকের থেকে চিত্রনাট্য শুনে কাজ করতেও চেয়েছিলাম। ২০২১ সালের ৮ অগস্টের পর সুকেশ আর আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তারপরই জানতে পারি নিজেকে সরকারি অফিসার হিসেবে পরিচয় দেওয়ার কারণেই গ্রেপ্তার হন তিনি।’

আইকে