এই গাধার দলই একদিন ভবিষ্যৎ চেনাবে!

H₂O মানে কী? H₂O মানে ধানমন্ডিতে একটা রেস্টুরেন্ট আছে। তোমার ৩টি ইচ্ছে কি কি? বিচারক তিনটি অপশনও বলে দিলেন, ১. বাংলাদেশের লঙ্গেস্ট সি বিচ কক্সবাজার। ২.সবচেয়ে বড় সুন্দরবন অনেক বিউটিফুল। ৩.আমাদের দেশে সুন্দর সুন্দর পাহাড় পর্বত রয়েছে। বুঝেন অবস্থা!
‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ নিয়ে সমলোচনা যেন থামছেই না। বিচারকদের উইশ অথবা পানির গাঠনিক সংকেত H2O নিয়ে চলছে হাস্যরসাত্নক। প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন শবনজ সাদিয়া ইমি। ইমির এ ধরনের শোতে অংশ নেওয়া, উপস্থাপনা করা, বিচারক হওয়া নতুন কিছু নয়। তিনি প্রতিযোগিদের ‘উইশ’ জানতে চেয়েছেন এবং তিনিই এমন ‘উইশ’ বলেছেন। তার আগে শুরুতেই বিচারকের চেয়ারে বসা ইমি বললেন, গুড ইভনিং। তারপর বললেন, আসলে গুড নাইট।
আজব! আপনি যখন কারো সঙ্গে আলাপের শুরু করবেন তখন সন্ধ্যা থেকে ঘুমের আগ মুহূর্ত সময়ে আপনি গুড ইভনিং বলতে পারেন। সেটা রাত ১০টা হলেও গুড ইভনিং বলা যায়।
আবার যদি আপনি সন্ধ্যা সাতটাতেও কারো কাছ থেকে আলাপ সেরে বিদায় নেন, তবে ওই সময়ও তাকে গুড নাইট বলতে পারেন।
গুড নাইট অনেকটা বিদায় আলাপ। এটা সাক্ষাতের শুরুর শুভেচ্ছা বিনিময় রেওয়াজ না। সাক্ষাতের রেওয়াজ হচ্ছে গুড ইভনিং। বিচারক ইমি এখানে সতর্ক ছিলেন না।
এখানেই শেষ নয়। ইমি বললেন, এত এত গর্জিয়াস লেডিরা আছেন, তাদেরকে ইন্টেলেকচুয়াল প্রশ্ন করতে চান না।
গর্জিয়াস লেডিদের কেন ইন্টেলেকচুয়াল প্রশ্ন করা যাবে না মাননীয় বিচারক?
বিচারক ও ব্যবস্থাপকদের হাল যদি এই হয়, তাহলে প্রতিযোগিদের গ্রুমিং যে বেহাল হবে, তাতে অন্তত কোনো বেনিফিট অব ডাউট রাখার অবকাশ নেই।
তবে এসব সমলোচনা নিয়ে চটে আছেন ইমি। তিনি বলেন,‘তিনটে গাধা রেস করলে একটা তো জিতবেই। এটাই স্বাভাবিক। জানি, ঘোড়ার রেসের ময়দানে কেউই গাধার রেস দেখতে চাইবেনা। কিন্তু মুশকিল হল ঘোড়ারা যদি অংশ গ্রহণই না করে আস্তাবলেই পড়ে রয়, তাহলেতো গাধা দিয়েই রেসটা সারতে হবে। অন্তত শুরুটা তো তারা করে দিল। সামনে বসা জাজদের ঝাঁজ হয়তো নিতে পারেনি স্টেজে উঠে ভাষা আর মেধা শুন্যতার জন্যে। তবে এই গাধার দলটাই কিন্তু একদিন পথটা চেনাবে ভবিষ্যতের তূখোর ঘোড়াগুলোকে। হাস্যকর হলেও নিরাশ হবার সূযোগ নেই। অন্তত আমি তাইই মনে করি। আমার শুভকামনা থাকলো এদের জন্যে।’