ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১লা মে ২০২৫, ১৮ই বৈশাখ ১৪৩২


কী করছে এরা?


২ অক্টোবর ২০১৮ ১০:০৩

জুঁই, আইরিন আফরোজ, আজমেরি আশা, তাসনুভা তিশা, সৌমিক, আদর

টিভি নাটকে নতুন মুখের দেখা মেলে। কিন্তু সেখান থেকে টিকে থাকে কয়জন। ভালো চরিত্রগুলো রুপায়ন করে সেই পুরানোরাই। নতুনদেন নিয়ে কিছু নাটক নির্মাণ হয়। তবে সেগুলো খুব বেশি আলোচনায় আসতে পারে না। গত পাঁচ বছরে সংখ্যায় কম নতুনের আগমন ঘটেনি। তার মধ্য থেকে আলোচনায় আছেন শবনম ফারিয়া, তৌসিফ মাহবুব, সিয়াম আহমেদ, সাবিলা নূর, জোভান, সালহা খানম নাদিয়া, টয়া (লাক্স), সাফা কবির, তানজিন তিশা, নাদিয়া আফরিন মিম (লাক্স), পিয়া বিপাশা, মনোজ কুমাররা। সম্ভাবনা ছিল আরও অনেকের। এরই মধ্য থেকে কয়েকজনের খোঁজ দেয়া হল:

পুনম হাসান জুঁই: শুরুটা ইমদাদুল হক মিলনের রচনায় ধারাবাহিক ‘নূরজাহান’ দিয়ে। নাম ভূমিকায় ছিলেন। পরের পথচলাও মন্দ নয়। জন্ম কিশোরগঞ্জে হলেও তাঁর বেড়ে ওঠা ঢাকায়। বাবা মহিউদ্দীন ভূঁইয়া ছিলেন মঞ্চ অভিনেতা। তাঁর কাছ থেকেই পেয়েছেন অভিনয়ে আসার অনুপ্রেরণা। ২০০ পর্বে ‘নূরজাহান’ শেষ হওয়ার পর অন্যদের নাটকে অভিনয় করেছেন। করেছেন বেশ কিছু একক নাটক, টেলিফিল্ম ও ধারাবাহিকে অভিনয়। করেছেন মডেলিংও। তবে এ সময়ে এসে জুই খুব একটা আলোচনা নেই। কিছু ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করলেও চোখে পড়ার মতো না।

আইরিন আফরোজ: শোবিজ জগতে বেশ কয়েকজন আইরিন। তাঁদের মধ্য থেকে নিজেকে আলাদা করে চেনাতে এক বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে আইরিন আফরোজকে। বিকাশের বিজ্ঞাপনে তার পরিচিতি মেলে। পরবর্তীতে টিভি নাটকেও নিয়মিত হন। তবে মূল চরিত্রে খুব কম দেখা গেছে এ নতুনকে। আমাদের দেশের নাটকের যে অবস্থা, মূল চরিত্রে অভিনয় না করলে আলোতে থাকেন না। তাই অচিরেই এ অভিনেত্রীর সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত বেছে ভালো কাজের।

আজমেরি আশা: পিয়া বিপাশার বোন আজেমেরি আশা। নানা স্ক্যান্ডালে পিয়ার নাম জড়ালেও আশা ছিলেন আড়ালে। শোবিজের অনেকেই বলতো পিয়া যতটা হট অ্যান্ড বোল্ড আশা ততটাই কুল। ভিট থেকে শোবিজে আগমন। ‘ক্লোজআপ কাছে আসার গল্প’ বিজ্ঞাপনে অভিনয় করে এই মডেল অভিনেত্রী বেশ আলোচনায় এসেছেন। তবে এখন খুব একটা নাটকে অভিনয় করতে দেখা যায় না। অনেকেই বলে মনোযোগ দিয়ে অভিনয় করেলে স্থায়ী হতে পারতেন শোবিজে।

তাসনুভা তিশা: ‘জানিস, আমাদের কলেজের কেমিস্ট্রির টিচার দেখতে যা হ্যান্ডসাম! আমিতো পুরাই প্রেমে পড়ে গেছি’ সংলাপটি ছিল এক বিজ্ঞাপনের। সেই সময় সংলাপটি বেশ সাড়াও ফেলেছিল। আর বিজ্ঞাপনে এই সংলাপটি যিনি বলেছিলেন তিনি হলেন মডেল ও অভিনেত্রী তাসনুভা তিশা। সেই থেকে যেন চোখে পড়ে যান নির্মাতাদের। মিডিয়ায় পরিচিতিও মিলে। তবে ফটোশুট দিয়েই মূলত মিডিয়ায় যাত্রা শুরু করেছিলেন তিনি। পরে নাটক, বিজ্ঞাপন, মিউজিক ভিডিও নিয়ে হয়ে পরেন ব্যস্ত। তবে ক্যারিয়ারের এক পর্যায়ে বিয়ে ও সন্তানের জন্য কাজে বিরতী নিয়েছিলেন। ভালোই চলছিলো ক্যারিয়ার। হুট করে তার কাজের সংখ্যা কম দেখা যায়। হঠাৎ খবর পাওয়া যায় ডিভোর্সের। তারপর থেকে মিডিয়ায় কুব একটা দেখা যায় না তাকে।

সৌমিক: নাটক দিয়ে শুরু হলেও বিজ্ঞাপনে মুখ দেখিয়েছেন বেশি। এয়ারটেল, ক্লোজআপ, ইস্পাহানি, মোজো, সিম্ফনিসহ বেশ কিছু ব্র্যান্ডের মডেল হয়েছেন। তবে ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট মনে করেন ক্লোজআপ কাছে আসার গল্পের প্রমোশনাল বিজ্ঞাপন। বর্তমানে এশিয়াটেকে কর্মরত আছেন।

বৃষ্টি ইসলাম: মডেলিং থেকে ক্যারিয়ার শুরু করলেও নাটকে অভিনয় করে আলোচনা আসেন। তবে তিনি নিয়মিত অভিনয় করেন না। এখন হারিয়ে যাওয়ার পালায় আছেন।

নাবিলা ইসলাম: শুরুটা র‌্যাম্প দিয়ে। সময় ২০০৪ সাল। তখন সবে সদ্য কৈশোরে পা রাখেন নাবিলা। শুরুতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন মঞ্চে। ফটোশুট কিংবা ফ্যাশন শো হলেই নিশ্চিতভাবে ডাক পড়ত তাঁর। ধীরে ধীরে চট্টগ্রামের গণ্ডি পেরিয়ে পা রাখেন রাজধানীতে। সেখানেও সাফল্য। বছর দুই হলো নাটকে নিয়মিত হয়েছেন। বেশ ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। নাটকের মূল চরিত্রে খুব একটা দেখা যায়নি তাকে।

অন্তরা আজিম: বেশ কয়েকটি একক ও ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেছেন। ভালো অফার পেলে চলচ্চিত্রেও অভিনয় করবেন। অভিনয় করেছেন ‘লেক ড্রাইভ লেন’,‘ব্যাক বেঞ্চারস’,‘কম-ইউনিটি’ সহ বেশ কয়েকটি সিরিয়ালে। বর্তমানে অভিনয়ে তেমন নেই বললেই চলে। মূল চরিত্রে খুব একটা পাওয়া যায় না।

ইমরান কাশিক: চট্টগ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। শোবিজে কাজ করছেন সেখানে থেকেই। বেশ কিছু বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল হয়েছেন। বাংলা লিংকের বিজ্ঞাপন থেকে বেশ পরিচিতি পেয়েছিলেন। প্রায় ৫০টির মতো পণ্যের মডেল হয়েছেন। প্রথম নাটক সারিকার বিপরীতে, ‘ইসাবেলা ৭১’ ভালো রেসপন্স পেলেন। তবু অভিনয় থেকে লম্বা বিরতি নিয়েছিলেন। বর্তমানে টুকটাক নাটকে দেখা যায়।

সেমন্তী সৌমি: শুরুটা লাক্স সুন্দরী প্রতিযোগিতা দিয়ে। এরপর টিভি নাটকে অভিনয়। নাম লিখিয়েছেন চলচ্চিত্রেও। বাবা পশ্চিমবঙ্গের, মা বাংলাদেশি। আত্মীয়স্বজন বেশির ভাগই কলকাতায়। জন্ম ও শৈশব কলকাতায়, কৈশোর থেকে আছেন বাংলাদেশে। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পর এখন বিবিএ করছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। পারিবারিক রেওয়াজ অনুযায়ী ছোটবেলায়ই শিখেছেন নাচ-গান। বর্তমানে নাটকের চেয়ে মডেলিংয়েই বেশি সময় দিচ্ছেন।

আরিক আনাম খান: তারিক আনাম খান ও নিমা রহমান দম্পতির ছেলে। অভিনয় শুরু করেছিলেন। মঞ্চে এ পর্যন্ত তাঁর অভিনীত নাটক পাঁচটি- ‘আরজ চরিতামৃত’,‘মৃত মানুষের ছায়া’,‘ডালিম কুমার’,‘দুই যে ছিল এক চাকর’ ও ‘বন্ধুকযুদ্ধ’। টিভি নাটকে প্রথম অভিনয় অনিমেষ আইচের ‘পলাতক সময়’-এ। ২০১২ সালের কথা। এরপর আরও কিছু নাটকে অভিনয় করেন। বর্তমানে তিনি ফিল্মের উপর পড়াশুনার জন্য দেশের বাইরে রয়েছেন।