ঢাকা শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১


বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হলেন তুহিন আক্তার


২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:৩৭

আগামী মাসে অনুষ্টিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নেত্রকোনা সদর উপজেলা থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও নেত্রকোনা জেলার জনপ্রিয় নারীনেত্রী তুহিন আক্তার। মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

পারিবারিকভাবে রাজনৈতিক বলয়ে বেড়ে উঠা এ নেত্রীর পিতা মরহুম আব্দুল মজিদ তারা মিয়া ছিলেন ১৯৭০ ও ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে নির্বাচিত এমপি, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও বাংলাদেশের সংবিধানে স্বাক্ষর করা ব্যাক্তিদের একজন। পাশাপাশি তুহিন আক্তারের শশুর মরহুম আব্দুল হেকিম আহমেদ ছিলেন তৎকালীন নেত্রকোনা মহুকুমা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন, মুক্তিযোদ্ধা ও আমৃত্যু জেলা আওয়ামীলেগের উপদেষ্ঠা।

তুহিন আক্তার মূলত ২০০৯ সাল ও পরে ২০১৪ সালে নেত্রকোনা সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। এবার তিনি সরাসরি চেয়ারম্যান পদের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। কিন্তু পরবর্তীতে সদর উপজেলা থেকে দলীয় মনোনয়ন অন্য জনকে দেয়া হলে তিনি তা মেনে নেন। তার কর্মী ও উপজেলাবাসীর অনুরোধে তিনি ফের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন সংরহ করেন।

এ বিষয়ে তুহিন আক্তার নতুন সময়কে বলেন, আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান, একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমার পিতা মরহুম আব্দুল মজিদ তারা মিয়া ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক ও তিনি সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আমার শশুড় মরহুম আব্দুল হেকিম আহমেদও একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন পাশাপাশি তিনি আমৃত্যু নেত্রকোনা জেলা আওয়ামীলেগের উপদেষ্ঠা ছিলেন। সে হিসেবে আমি ছোটবেলা থেকেই রাজনৈতিক একটা পরিবেশের মাঝে বেড়ে উঠেছি।

তিনি বলেন, পরপর দুইবার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হবার পর আমার সদর উপজেলাবাসীর ইচ্ছায় আমি এবারের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করি, কিন্তু পরবর্তীতে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে ও আমার সদর উপজেলাবাসী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের ইচ্ছায় ফের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যন পদের জন্য মনোনয়ন সংগ্রহ করি যদিও আমার মনোনয়ন তারাই আমার পক্ষে সংগ্রহ করেছে। এরপর মঙ্গলবার আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী যারা ছিলেন তারা তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলে আমি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হই। এখনও গেজেট প্রকাশিত হয়নি বা সরকারী ঘোষণা আসেনি। তবুও আমি আমার সদর উপজেলার প্রতিটি জনগণের কাছে ও আমার সকল রাজনৈতিক সহকর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞ। তারা আমাকে এতটা ভালোবাসেন যে এর প্রতিদান আমি কখনও দিতে পারবোনা।

এসময় তুহিন আক্তারের কাছে তার ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ভবিষ্যত পরিকল্পনা বলতে আমি বুঝি যে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়বার যে দ্বায়িত্ব জননেত্রী শেখ হাসিনা কাঁধে নিয়েছেন তার কিছুটা অংশীদার হয়ে নেত্রকোনা সদর উপজেলার প্রতিটা নারী ও নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। আমি আমার বিগত সময়ে যে কাজগুলো শেষ করতে পারিনাই এবার আমি সেগুলো ভালোভাবে শেষ করতে চাই। আমি এজন্য আমার সদর উপজেলার প্রতিটা মানুষের সাহায্য চাই। আর আমি আবারো সকলকে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাহস দেয়ার জন্য। আমি চাই নেত্রকোনা সদর উপজেলা হবে বাংলাদেশের জন্য একটি রুল মডেল। সে লক্ষ্যেই আমি সামনের দিনগুলোতে কাজ করে যাবো।