ঢাকা বুধবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১


চিংড়ি ঘেরে পাওয়া ৩২টি গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করলো বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট


১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ২৩:০৮

চিংড়ি ঘেরে পাওয়া ৩২টি গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করলো বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট

খুলনার পাইকগাছা উপজেলার চিংড়ি ঘেরে পাওয়া ৩২টি হ্যান্ড গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করেছে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১০টা ৪৮ মিনিট পর্যন্ত গ্রেনেডগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়। যশোর সেনানিবাসের জিওসি ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের মেজর আশফাকের নেতৃত্বে বোমা বিশেষজ্ঞ দল গ্রেনেডগুলো নিষ্ক্রিয় করে।

এলাকাবাসী জানান, গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করার সময় লস্কর, সোলাদানা, গড়ইখালী, পৌরসভা, গদাইপুরসহ গোটা এলাকা বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে।

এর আগে রোববার রাতে পাইকগাছার চিংড়ি ঘেরে পৌঁছান বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। তারা ওই এলাকা পর্যবেক্ষণ করে এবং সেখানে পাওয়া ৩২টি হ্যান্ড গ্রেনেড পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। এরপর তা ধ্বংস করে।

এসময় পাইকগাছা থানার ভরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক শেখ ও ওসি-তদন্ত রহমত আলী উপস্থিত ছিলেন।

সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা ৫২ মিনিটে পাইকগাছা থানার সাব ইন্সপেক্টর লিটন বিশ্বাস  বলেন, যশোর বোমা বিশেষজ্ঞ দল গ্রেনেডগুলো নিষ্ক্রিয় করেছে। এসময় বিকট শব্দ হয়।

মেজর আশফাক বলেন, ৩২টি গ্রেনেডেই বেশ পুরনো ও মরিচা পড়া ছিল। কিন্তু কার্যকর ছিল। বেশ শক্তিশালীও। এগুলো সবই বিদেশি। গ্রেনেডের সব ন্যাচারগুলো বিদ্যমান ছিল। ৬ সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল একটি সুষ্ঠু ও নিরাপদ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গ্রেনেডগুলো নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হয়েছে।

উল্লেখ্য, রোববার সকালে শ্রমিকরা পাইকগাছা উপজেলার লস্কর ইউনিয়নের আবুল কালামের চিংড়ি ঘেরের বাঁধ দেওয়ার জন্য মাটি কাটার সময় মাটির ১০ ইঞ্চি থেকে ১ ফুট নিচে পুরাতন একটি কাঠের বাক্সের সন্ধান পায়। ওই বাক্স খুলে ৩২টি গ্রেনেড দেখতে পায়। মাটি চাপা থাকা গ্রেনেডগুলোতে মরিচা ধরা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় গ্রেনেডগুলো এখানে পুঁতে রাখা হয়েছিল।