ভাষা আন্দোলনের শহীদ স্মরণে কলকাতা-ঢাকা দৌড় ও সাইকেল র্যালি

মোদের গর্ব মোদের আশা আমরি বাংলা ভাষা। যে ভাষায় আমরা আত্মিক শান্তি পাই সেই ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। মাতৃভাষা শুধুমাত্র প্রকাশের মাধ্যম নয়। মাতৃভাষা এক শান্তির অনুভূতি, নিজের স্বাধীন অস্তিত্ব বজায় রাখার একটি উপায়। মাতৃভাষা মাতৃদুগ্ধের সমান৷
এ বিষয়গুলোকে সামনে রেখে এপার বাংলার কলকাতা থেকে কয়েকজন ভাষা প্রেমী যুবক ''টাচ অফ হেভেন'' সংস্থার ব্যবস্থাপনায় সাইকেল ও দৌড়ে,আজ ১৫ ই ফেব্রুয়ারি রওনা দিচ্ছেন ওপার বাংলার ঢাকার লক্ষ্যে উদ্দেশ্য একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ঢাকায় অবস্থিত শহীদ বেদীতে মালা প্রদান ও ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এবং ঢাকা দক্ষিণ পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন এর হাতে ভারতীয় ফ্লাগ ও ক্লাবের স্মৃতি হিসেবে মেমেন্টো তুলে দেওয়া হবে। এর উদ্দেশ্য দুই বাংলার মানুষের মাধ্যমে মৈত্রী বন্ধন সুদৃঢ় করা।
পরিবহনের মাধ্যম হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে সাইকেল ও দৌড় কে যাতে দুই বাংলার যত বেশি সংখ্যক মানুষের সংস্পর্শে আসা যায়। দুই বাংলার আচার-ব্যবহার, শিক্ষা- সংস্কৃতি, রীতিনীতি ও চিন্তাভাবনার আদান-প্রদান ঘটানো যায়।
আন্তর্জাতিক সীমারেখা দ্বারা দুই বাংলার মধ্যে ব্যবধান থাকলেও মানুষের অন্তর এর ব্যবধান একেবারে নেই বললেই চলে। দুই বাংলার মানুষের হৃদয়ে তাই সব সময় অনুপ্রাণিত হয়ে চলেছে- আমি বাংলায় গান গাই, আমি বাংলার গান গাই, আমি আমার আমিকে চিরদিন এই বাংলায় খুঁজে পাই।
গত ১৩ ই ফেব্রুয়ারি দুপুর তিনটের সময় মাননীয় মুখ্য উপ মহানাগরিক শ্রী অতীন ঘোষের হাত থেকে পতাকা গ্রহণ করলেন দলনেতা শ্রী যশঙ্ক মিদ্যা।
"টাস অফ হ্যাভেন" এর পরিচালনায় সাইকেল রেলির সদস্যরা হলেন, রাহুল সেন, সৈকত মন্ডল,রৌণক দত্ত ও দলনেতা যশঙ্ক মিদ্যা।দৌড়ে আছেন সদস্য নিমাই মন্ডল। তারা ঢাকার আনুষ্ঠানিকতা সেরে আবার কলকাতায় সাইকেল ও দৌড়ের মাধ্যমে ফিরে যাবেন বলে জানান।
নতুনসময়/আইয়ুব