ঢাকা রবিবার, ১২ই মে ২০২৪, ৩০শে বৈশাখ ১৪৩১


বরগুনায় চাঁদাবাজি মামলার সাক্ষী হলেন চুরি মামলার আসামিরা


১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৪:৪৫

বরগুনার তালতলী উপজেলায় কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল চুরির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরে এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজির মামলা করেছে ভাঙারির ব্যবসায়ী মশিউর নামে এক ব্যক্তি।

অভিযোগ রয়েছে, সাংবাদিককে হয়রানি করতে বাদীর নিকটাত্মীয়দের সাক্ষী বানিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও সাক্ষী করা হয়েছে একাধিক মামলার আসামিকেও। এতে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার শংকা প্রকাশ করছেন ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিক।

এ প্রসঙ্গে ভুক্তভোগী এবং মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, চাঁদাবাজির মামলার ছয় নম্বর সাক্ষী মিলন গাজী তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে মালামাল ও তামার তার চুরির মামলার অন্যতম আসামি। এছাড়াও মামলার ১ নাম্বার সাক্ষী মাহমুদা বাদীর স্ত্রী, ২ নম্বর সাক্ষী ফয়সাল সিকদার বড় জামাতা এবং ৩ নম্বর আসামি তানভীর শিকদার জয় ছোট জামাতা।

মামলার আসামি ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিক বরগুনার তালতলী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক মানবকন্ঠ পত্রিকার তালতলী উপজেলা প্রতিনিধি।

উল্লেখ্য, গত ২৯ জানুয়ারি স্থানীয় দৈনিক দীপাঞ্চল পত্রিকায় 'মাদ্রাসার মাঠে ভাঙারি মালামাল, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা' এই শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হলে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি আমতলী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চাঁদাবাজি মামলা করেন ভাঙারি ব্যবসায়ী মশিউর। এর পরের দিন চাঁদাবাজি মামলার অন্যতম সাক্ষী মিলনের ঘর থেকে ২৩০ কেজি তামার তার উদ্ধার করে পুলিশ।

এ প্রসঙ্গে ভুক্তভোগী সাংবাদিক শাহাদাৎ হোসেন বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন করায় আমাকে হয়রানি করতে এ মিথ্যে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় চাঁদা দাবি করার যে সময় উল্লেখ করা হয়েছে ওই সময়কার আশেপাশের সিসি ক্যামেরা চেক করা হোক। তাহলেই প্রকৃত রহস্য উন্মোচিত হবে।