ভোলায় জমি কিনে বিপাকে এক পরিবার

ভোলা সদরের ভেদুরিয়ায় ধার-দেনা করে সাড়ে ৩ শতাংশ জমি কিনে বিপাকে পরেছে শেখ ফরিদ (৪৫) নামে এক বোর্ড মিস্তি। ক্রয় কৃত জমি বালু দিয়ে ভড়াট করতে গেলে তাকে বাধা দেওয়াসহ বিভিন্ন মিথ্যে মামলায় জরিয়ে দেওয়ার হুমকী দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনাটি ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম চর কালি গ্রামের।
শেখ ফরিদ অভিযোগ করে জানান, তিনি গত ২৭ নভেম্বর ২০১৮ সালে ধার-দেনা করে একই এলাকার মোঃ ফিরোজ ও মহিউদ্দিনের কাজ থেকে চর কালী মোজার জে.এল নং ৬৫ এস.এ খতিয়ান নং ৫০ দাগ নং ৫৫৪ এর একটি পুকুরের সাড়ে ৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। জমি কেনার পর থেকেই একই এলাকার বাসিন্দা রফিক ও মিছির হাওলাদার বিভিন্নভাবে ঝামেলা করছ।
পরে ওই এলাকার ইউপি সদস্যসহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিরা জমিটি মেপে ফরিদ কে বুঝিয়ে দেন। এ নিয়ে কয়েকবার ইউপি সদস্য ও এলাকার গন্যমাণ্য ব্যক্তিরা শালিশে বসলেও সে শালিশে আসেনি রফিক ও মিছির হাওলাদাররা। পরে আমাকে ইউপি সদস্য ও গন্যমান্য বক্তিরা পুকুর ভড়াট করার অনুমোতি দেয়।
আমি গত ২০/২২ আগে বালু দিয়ে পুকুরটি ভড়াট করতে গেলে রফিক ও মিছির হাওলাদার বাধা দেয়। তারা আরো বলে জমি ছেরে না দিলে বিভিন্ন মিথ্যে মাদক এবং নারী নির্যাতন মামলায় ফাসিয়ে দেওয়ার হুমকীও দিচ্ছে তারা।
তিনি আরো জানান, এ অবস্থায় আমি বিপদ গ্রস্ত। তাই আমি সরকার ও প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছি। ভোলা মডেল থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে তিনি জানান।
অভিযুক্ত রফিক ও মিছির জানান, এ জমি তাদের পত্রিক সম্পতি। এটা জোর করে ফিরোজ ও মহিউদ্দিন দখল করে করেছে। ভোলা মডেল থানার ওসি মোঃ এনায়েত হোসেন জানান, অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।