ঢাকা শনিবার, ১৮ই মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


অজিদের গুঁড়িয়ে কিউইদের ‘প্রথম’ জয়


২৩ অক্টোবর ২০২২ ০৮:৫২

প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। তাও রীতিমতো অজিদের গুঁড়িয়ে দিয়ে। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে অজিদের বিপক্ষে ৮৯ রানের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে কিউইরা।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাদের মাটিতে এর আগে ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেললেও কোনো ম্যাচই জেতেনি নিউজিল্যান্ড। ৪র্থ বারের চেষ্টায় এই ফরম্যাটে অজিদের মাটিতে স্বাগতিকদের হারানো স্বাদ পেল কেন উইলিয়ামসনের দল। এ ছাড়াও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে দুই দলের এখন তিনবারের দেখায় ২ জয় নিয়ে এগিয়ে গেল কিউইরা। একবারই হেরেছিল বিশ্বকাপে। সেটিও গত বছরের ফাইনালের মঞ্চে।

এবারের বিশ্বকাপের সাক্ষাত তাই নিউজিল্যান্ডের জন্য প্রতিশোধের মঞ্চও ছিল। এদিন টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনারের কল্যাণে ৩ উইকেটে ২০০ রানের স্কোর দাঁড় করায় কিউইরা। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭ ওভার ১ বলে ১১১ রানে গুটিয়ে যায় অজিরা।

এদিন আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার ফিন অ্যালেন ও ডেভন কনওয়ে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন। পাওয়ারপ্লেতে তারা তোলেন ৬৫ রান। যার মধ্যে অ্যালেন একাই ১৬ বলে ৫টি চার ও ২ ছয়ে করেন ঝড়ো ৪২ রান। এরপর তিনে নেমে অধিনায়ক উইলিয়ামসন ২৩ ও গ্লেন ফিলিপস ১২ রান করে ফিরে যান।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে জিমি নিশামকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ৪৮ রানের জুটি গড়ে দলীয় দুই শ রান স্পর্শ করেন। এরমধ্যে নিশাম ১৩ বলে ২ ছয়ে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন। তবে কিউইদের পক্ষে কনওয়ে খেলেন ম্যারাথন ইনিংস। ওপেনিংয়ে নেমে ৫৮ বলে ৭ চার ও ২ ছয়ে অপরাজিত ৯২ রানের ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে কোনো পর্যায়ে ম্যাচে থাকতে পারেনি অজিরা। দ্বিতীয় ওভারে দুর্ভাগ্যজনকভাবে বোল্ড হয়ে ওয়ার্নারের (৫ রান) বিদায়ে আউট হওয়ার সুইচ গেট ওপেন হয় অস্ট্রেলিয়া শিবিরের। এরপর ৫০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি।

অধিনায়ক ফিঞ্চ (১৩ রান), মিচেল মার্শ (১৬), মার্কাস স্টয়নিস (৭), টিম ডেভিড (১১), ম্যাথু ওয়েডরা (২) ব্যাট হাতে চরম ব্যর্থ হোন। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২৮ রান করে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। তবে তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। শেষদিকে কামিন্স ২১ রান করলে শতরানের কোটা পেরোয় অজিরা।

এদিন বল হাতে কিউই বোলাররা ছিলেন দুর্দান্ত। সাউদি ৩ উইকেট নেন মাত্র ৬ রানের বিনিময়ে। এ ছাড়াও মিচেল স্যান্টনারও ৩ উইকেট পান তবে ৩১ রানের বিনিময়ে। ট্রেন্ট বোল্ট ২ উইকেট নিতে খরচ করেন ২৪ রান।