ঢাকা শনিবার, ১৮ই মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


ড্র করে ফাইনালে বাংলাদেশ, নেপালের বিদায়


৩ আগস্ট ২০২২ ০৫:২৬

সমীকরণ ছিল জিতলে কিংবা ড্র করলেই ফাইনালে বাংলাদেশ। নেপালের সামনে ছিল কঠিন সমীকরণ।

জিততেই হবে তাদের তাও বড় ব্যাবধানে। কিন্তু জয়ের দেখা পায়নি নেপাল। বরং ১-১ গোলে ড্র করে সাফ অ-২০ এর ফাইনাল নিশ্চিত করেছেনে পিয়াস আহমেদ নোভারা।
প্রথম তিন ম্যাচে জয় জয়ের ফলে ৯ পয়েন্ট ছিল বাংলাদেশের। ফলে এই ম্যাচে ড্র করেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। ফাইনালের দ্বারপ্রান্তে থেকেও নেপালকে ছেড়ে কথা বলেনি বাংলাদেশের যুবারা। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমনের পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন তারা। অন্যদিকে ফাইনালে উঠতে গোলের জন্য মরিয়া ছিলো নোপালও। তবে প্রথমার্ধে নেপালের আক্রমন ভাগকে বার বারেই হতাশ করেছে বাংলাদেশের রক্ষন।

বাংলাদেশের অর্ধে সিংহভাগ সময় খেলা হলেও পোস্টের নিচে বিশ্বস্ত দেয়াল হয়ে ছিলেন মোহাম্মদ আসিফ। ১৫তম মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে আইয়ুশ গালানের শট গ্লাভসের টোকায় কর্নার দিয়ে বের করে দেন এই গোলরক্ষক।

৩৩তম মিনিটে বক্সের একটু উপর থেকে দিপেশ গুরংয়ের বাঁকানো ফ্রি কিক ঝাঁপিয়ে পড়ে আটকে আবারও বাংলাদেশের ত্রাতা আসিফ। বিরতির আগে বাংলাদেশ জালে বল জড়ালেও অফসাইডের কারণে গোল হয়নি

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দশ জনের দলে পরিণত হয় বাংলাদেশ। তানভীর আহমেদের ট্যাকলে পড়ে যান কৃতিশ রেইনা। এ নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি শুরু হয়। দুই পক্ষের মধ্যে বেঁধে যায় ধাক্কাধাক্কি। রেফারি শাহিদুল ইসলামকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেন, তানভিরকেও হলুদ কার্ড দেখান তিনি। নেপালের দিপেশকেও দেখান লালকার্ড। বেঞ্চে থাকা ২০ নম্বরকেও লালকার্ড দেখান।

৬৩তম মিনিটে সতীর্থের কাট ব্যাকে নিখুঁত প্লেসিং শটে পিয়াস আহমেদ নোভা লক্ষ্যভেদ করেন, এগিয়ে যাওয়ার উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে বাংলাদেশ। ৬৭তম মিনিটে বদলি নিরঞ্জন মাল্লা বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে সমতা ফেরান। শেষ দিকে পিয়াসের ক্রস ক্রসবারের উপর দিয়ে উড়ে যায়। ৮৭তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণের সুবর্ণ সুযোগও নষ্ট করেন এই ফরোয়ার্ড। একক প্রচেষ্টায় আক্রমণে ওঠা পিয়াস গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল তার গায়ে মেরে বসেন। তারপরও লক্ষ্য পূরণের উচ্ছ্বাস নিয়ে মাঠ ছাড়ে দল।