ঢাকা সোমবার, ৬ই মে ২০২৪, ২৪শে বৈশাখ ১৪৩১


চার বছর পর ঘরের মাঠে জয় পেল পাকিস্তান


১ অক্টোবর ২০১৯ ২৩:১৬

ফাইল ছবি

প্রায় চার বছর পরে ঘরের মাঠে ওয়ানডেতে জয় পেল পাকিস্তান। কারণটা হচ্ছে, এই চার বছর ঘরের মাঠে কোন ওয়ানডেই খেলেনি পাকিস্তান। ২০০৯ সালে পাকিস্তানে শ্রীলঙ্কান দলের উপর হামলার পর কোন দলই পাকিস্তানে যেতে রাজি নয়। তবে ২০১৫ সালে জিম্বাবুয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল পাকিস্তানে। এরপর শ্রীলঙ্কা ও উইন্ডিজ মাঝে পাকিস্তানে যেয়ে টি-টুয়েন্টি খেললেও খেলেনি কোন ওয়ানডে।

চার বছর পর তাই শ্রীলঙ্কার সাথেই ঘরের মাঠে ওয়ানডে খেলার সুযোগ পেল পাকিস্তান। আর সুযোগ পেয়ে প্রথম ম্যাচেই বাজিমাত করল তারা। বাবর আজমের সেঞ্চুরি ও উসমান সেনওয়ারির দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৬৭ রানের জয় তুলে নিয়েছে সরফরাজ আহমেদের দল।

টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে পাকিস্তান। উদ্বোধনী জুটিতে ৭৩ রান সংগ্রহ করেন ইমাম-উল-হক ও ফখর জামান। এরপর ৪১ বলে ৩১ রান করে ফিরে যান ইমাম।

এরপর ৩১ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন অন্য ওপেনার ফখর জামান। তার আগে ক্যারিয়ারের ৪৫তম ম্যাচে ১২তম ফিফটির দেখা পান তিনি।

১০৪ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন বাবর আজম ও হারিস সোহেল। তৃতীয় উইকেটে তারা ১১১ রানের জুটি গড়েন। ৪৮ বলে ৪০ রান করে রান আউটের ফাঁদে পড়েন হারিস। তার বিদায়ের পরও ব্যাটিং তাণ্ডব অব্যাহত রাখেন তিন নম্বর পজিশনে খেলতে নামা বাবর আজম।

ইনিংসের শুরু থেকেই বাড়তি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন বাবর। তুলে নেন দুর্দান্ত এক শতক। তার ১০৫ বলে গড়া ১১৫ রানের ইনিংসে ভর করে ৭ উইকেটে ৩০৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে পাকিস্তান। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৭১তম ইনিংসে এটি বাবরের ১১তম শতক। ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম হিসেবে ১১টি সেঞ্চুরি হাঁকান এ পাকিস্তানি।

৩০৬ রানের বড় টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে উসমান সেনওয়ারির বোলিং তোপে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে শ্রীলংকা। ১০.১ ওভারে স্কোর বোর্ডে ২৮ রান যোগ করতেই সাজঘরে ফেরেন লংকান ৫ ব্যাটসম্যান। তখনই পাকিস্তানের জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। ম্যাচের আগ্রহটাই হারিয়ে গিয়েছিল দুই দেশের দর্শকদের কাছে।

কিন্তু ষষ্ঠ উইকেটে ১৭৭ রানের জুটি গড়ে ঠিক খাদের কিনারার ওই জায়গা থেকে দলকে টেনে তুলেছিলেন সানাকা ও জয়সুরিয়া। কিন্তু স্লগ ওভারের চাপ সামলাতে পারেননি লংকান ব্যাটসম্যানরা। ৪১ তম ওভারে ষষ্ঠ উইকেট জুটি ভেঙে যাওয়ার পর পরের দুটি উইকেটও ভেঙে যায় দ্রুততার সঙ্গেই। মাত্র ৬ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় লংকানরা। পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার উসমান সেনওয়ারি একাই নেন ৫ উইকেট।

সবশেষে ৪৬.৫ ওভারে ২৩৮ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। ফলে ৬৭ রানের জয় পায় পাকিস্তান।