ঢাকা শনিবার, ৪ঠা মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১


জুমার নামাজে হেঁটে যাওয়ার ফজিলত


৩ ডিসেম্বর ২০২২ ০০:১৯

মুসলমানদের জন্য জুমার দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি মুসল্লিদের ঈদের দিন। জুমার নামাজে মুসল্লিদের জন্য হেঁটে উপস্থিত হওয়া উত্তম ও ফজিলতপূর্ণ কাজ।

রাসুলুল্লাহ (সা.) হেঁটে জুমার নামাজ আদায় করতে পছন্দ করতেন। এটি একটি সুন্নাহ কাজ। মসজিদ যদি বাড়ি থেকে বেশি দূরে হয় তবে হেঁটে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন ফরজ অথবা সাধারণ গোসল করে তাড়াতাড়ি মসজিদে গেল, ইমামের কাছে ঘেঁষে বসল, অহেতুক কথাবার্তা না বলে মনোযোগের সঙ্গে খুৎবা শুনল ও নামাজ আদায় করল, তার প্রতিটি কদমের (পদক্ষেপ) বিনিময়ে এক বছর রোজা ও নামাজের সওয়াব দেওয়া হবে। (তিরমিজি, হাদিস নম্বর : ৪৫৬)।

উবাই ইবনে কাব (রা.) বলেন, আমাকে বলা হলো যদি তুমি একটি গাধা কিনে নাও এবং তার পিঠে আরোহণ করে রাতের অন্ধকারে এবং রোদের মধ্যে নামাজ আদায় করতে আসো তাহলে তো বেশ ভালোই হয়। এ কথা শুনে আমি বললাম, আমার বাড়ি মসজিদের পাশে হোক তা আমি পছন্দ করি না। আমি চাই মসজিদে হেঁটে আসা এবং মসজিদে থেকে ঘরে আমার পরিবারের কাছে যাওয়ার প্রতিটি পদক্ষেপ আমার জন্য (আমলনামায়) লিপিবদ্ধ হোক। আমার এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, মহান আল্লাহ তায়ালা তোমার জন্য অনুরূপ সাওয়াবই একত্র করে রেখেছেন। (মুসলিম, হাদিস : ১৪০০)

জামাতে নামাজ পড়ার জন্য তাড়াহুড়া করতে নিষেধ করেছেন রাসুলুল্লাহ (সা.)।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.) বলতে শুনেছি, যখন নামাজ শুরু হয়, তখন দৌড়ে গিয়ে নামাজে যোগদান করবে না বরং হেঁটে গিয়ে নামাজে যোগদান করবে। নামাজে ধীরস্থিরভাবে যাওয়া তোমাদের জন্য অপরিহার্য। কাজেই জামাতের সঙ্গে নামাজ যতটুকু পাবে তাই আদায় কর। আর যা ছুটে গেছে তা পূর্ণ করে নাও। (বুখারি)

সুতরাং মুসলিম উম্মাহর হেঁটে, মসজিদে গিয়ে জুমার নামাজ আদায়ের মাধ্যমে ফজিলত লাভ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া জামাতে অংশগ্রহণের জন্য তাড়াহুড়ো করতে ইসলাম নিষেধ করেছে।

আইকে