‘সবাই উইনেবল ইলেকটেবল প্রার্থী’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের সব প্রার্থী হেভিওয়েট, কেউ লাইটওয়েট নেই। নির্বাচনে আমরা শক্তপোক্ত যোগ্য প্রার্থী দিচ্ছি। তারা সবাই উইনেবল ইলেকটেবল প্রার্থী।
রোববার (২৫ নভেম্বর) ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রার্থীদের কাউকেই আমি হালকা ভাবি না। কারণ জরিপ দেখে ভাবনা চিন্তা করে নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছি। ’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শরীকদের জন্য আমাদের সমঝোতার যে বিষয়গুলো আছে, যে আসনগুলো ঠিক হয়ে আছে তার বাইরে যা আছে সেটাতেই আজ আমরা দলীয় প্রার্থীদের চিঠি পাঠাচ্ছি। ’
২৩০টি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘চূড়ান্ত আমরা সব করেছি। তবে ছেড়ে দিতে হবো তো। তাই অফিসিয়ালি আজ আমরা সব দিতে পারব না। জোটের কাছে আমাদের অঙ্গীকার আমরা একসঙ্গে আগামীকাল সেটা ঘোষণা করবো। ’
মহাজোটকে কত আসনে ছাড় দেবেন এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এটা ৬০, ৬৫ কিংবা ৭০ হতে পারে। আমরা সবার সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেছি এবং তারা যে তালিকা দিয়েছে তাতে ইলেকটেবল প্রার্থীর তালিকা ৬৫-৭০ এর বেশি হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘মনোনয়নে প্রয়োজনে পরিবর্তন আসতে পারে। তবে এটা খুব বেশি নয়। আমরা কোথাও কোথাও দুটো চিঠিও দিয়ে দিচ্ছি, নানা কারণে। এটার প্রাকটিক্যাল কিছু কারণ আছে। ’
আজ মনোনয়নের তালিকা দেওয়া হবে না, আগামীকাল এ বিষয়ে ঘোষণার পর সেটা পাওয়া যাবে বলেও জানান সেতুমন্ত্রী।
আজ তিনি ৩টি চিঠি সংগ্রহ করেছেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দুটি আমাদের সভাপতি শেখ হাসিনার জন্য। এর মধ্যে একটি হলো রংপুর এবং অন্যটি হলো গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া। আরেকটি মাননীয় স্পিকারের জন্য রংপুরের একটি আসন। ’
এ সময় যুক্তফ্রন্ট সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘তারা ক্ষমতায় আসলে দেশ চরমপন্থার দিকে চলে যাবে। অন্ধকার নেমে আসবে, বিভীষিকা নেমে আসবে। ২০০১ সালের চেয়ে ভয়ংকর মূর্তিতে তারা আবির্ভূত হবে। তারা তো পল্টনে পুলিশের ওপর বর্বরোচিত হামলা করে তা বুঝিয়ে দিয়েছে।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘মনে মনে মনকলা খাচ্ছে। ৩০ ডিসেম্বর টের পাবে দেশের জনগণ কার সঙ্গে আছে। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সঙ্গে থাকতে পারে না। এই দেশের জনগণ শেখ হাসিনার মতো বিশ্বসমাদৃত সৎ, কর্মঠ প্রধানমন্ত্রীকে হারাতে চায় না। প্রমাণ পাবে ৩০ ডিসেম্বর। ’