বরগুনা-২ আসনে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার

সামনেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তফসিল ঘোষনার আগ পর্যন্ত বরগুনা-২ আসনে ঢোল পিটিয়ে গণসংযোগ করেছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। তবে এখন দেখা নেই কোন প্রার্থীর। এমন সময়ে সাধারণ ভোটাররা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের আলোচনা ও সমালোচনা। তবে বেশিরভাগ প্রার্থীর সমালোচনা থাকলেও জনপ্রিয় হয়ে আলোচনায় রয়েছে বরগুনা-২ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার।
বামনা-বেতাগী ও পাথরঘাটায় একাধীক স্থানে সাধারণ জনগনের সাথে কথা বলে জানা যায়। এরই মধ্যে তিন উপজেলার মধ্যে সব থেকে পাথরঘাটায় ভোটার সংখ্যা বেশি হওয়ায় সব মনোনয়ন প্রত্যাশীদের লক্ষ্য ছিল পাথরঘাটা উপজেলা।
তাই সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিয়ে কথা বললে উপজেলার পদ্দা গ্রামে আবুল কালাম আজাদ, রশিদ হাওলাদার, আলম মুন্সি, সেলিম ঘড়ামিসহ একাধীক ব্যক্তির সাথে।
তারা জানান, সারা বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে সরকার। তবে উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি পদ্দা এলাকায়। বরাবরের মতই অবহেলিত রয়েছে তারা। তাই এবার আর কোন আশ্বাস নয়। এবার তারা সুভাষ চন্দ্র হাওলাদারকে চায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে। কারন তাদের খারাপ সময়ে একমাত্র সুভাষ চন্দ্র হাওলাদারকেই পাশে পেয়েছেন তারা। তাই তার কোন বিকল্প নেই।
একই উপজেলার চরদুয়ানী এলাকার, খলিল মৃধা, নাজমুল মৃধা, শহীদ মৃধা, কাদের মাঝি, লিয়াকত শিকদারসহ একাধীক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, বিগত দিন গুলোতে বর্তমান সংসদ সদস্যের কাছে বার বার ছোট ছোট সমস্যার সমাধানের জন্য ধ্যান্না দিয়েছেন তারা। তবে তাদেরকে পাত্তাই দেয়নি বর্তমান সংসদ সদস্য রিমন। সামনে সংসদ নির্বাচন, আর এই সময়েই তারা এই ধ্যান্না দেয়ার সঠিক জবাবটা দিবেন তারা।
উপজেলার কাকচিড়া এলাকার নিতাই রায়, বলরাম পোদ্দার, লিমন আশ্চার্য্য, লিটন আশ্চার্য্য, নুরুল আমিন হাওলাদার, রাজন হাওলাদার, ইমতিয়াজ ফয়সাল, হাসিবুর রহমান হাসিবসহ একাধীক ব্যক্তি জানান, বছরেও একদিন দেখা পায়নি বর্তমান সংসদ সদস্য রিমনের। তবে ছোট বড় সব ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য সুভাষ হাওলাদার তাদের পাশে ছিল। তাই এবার সুভাষকে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন দিলে সব থেকে বেশি খুশি হবে।
পাথরঘাটার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এলাকায় কথা বললে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধীক মৎস্য ব্যবসায়ী এমপি রিমন সম্পর্কে বলেন, তার একমাত্র ঘনিষ্ঠজন পাথরঘাটা পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাট শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সোহেলের বেপারোয়া চাঁদাবাজিতে দিশেহারা তারা। বার বার এমপির কাছে গিয়েছেন তারা। তবে সমাধান হয়নি। লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ব্যবস্থা নেয়নি এমপি রিমন। তাই তারা ভিন্ন পথ অবলম্বন করেছেন। এমপির ঘনিষ্ট হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করতে পারছেনা। তাই রিমন এমপি না থাকলে সোহেলের ক্ষমতা কমে যাবে যার ফলে তারাও রক্ষা পাবে চাঁদাবাজির হাত থেকে। তাই মৎস্য ব্যবসায়ীরাও চাইছেন সুভাষ হাওলাদারকে। আর তারা বলছেন মার্কা নয় সুভাষকেই ভোট দেবেন তারা।
বামনা ও বেতাগীর একাধীক ব্যক্তি জানান, জমি দখল, শালীসির নামে মারধর সহ অনেক অত্যাচার সহ্য করেছেন তারা। সব করেছে বর্তমান সংসদ সদস্যের সাঙ্গ-পাঙ্গরা। তবে তারা এর সুবিচার কখনো পায়নি। করতে পারেনি প্রতিবাদ পর্যন্ত। আর যারা প্রতিবাদ করেছে তারা নির্যাতিত হয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। তাই এবার পরিবর্তনের বিকল্প নেই।
তিন উপজেলার সাধারণ ভোটাররা জানান, বিগত দিনে গরীব ও অসহায় মানুষের পাশে ছিলেন সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার। তাই তিনি এখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছেন বরগুনা-২ আসনে।
এদিকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার সম্পর্কে বামনা-বেতাগী ও পাথরঘাটা উপজেলার আওয়ামী লীগের একাধীক নেতারা বলেন, সংসদ সদস্যের ভূলের কারনে জনপ্রিয়তা হারিয়েছে সে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের কোন শেষ নেই। তাই তারাও চাইছেন এবার পরিবর্তন হোক মনোনয়নের। নয়তো এ আসনটি হারাতে পারে আওয়ামীলীগ।
জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার বলেন, নিজের জন্য নয় তিনি কাজ করেছেন জনগনের জন্য। তবে এতদিন জনপ্রতিনিধি না হয়েও শুধু বরগুনা-২ আসন নয় সমগ্র বরগুনা জেলাবাসীর জন্য কাজ করেছেন। আর জনগনের ব্যাপক সারা পেয়েছেন তিনি। তাই এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন তিনি। যদি তাকে মনোনয়ন দেয়া হয় তবে এ আসনটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারবেন তিনি।