একদিনে সমাধান হয় না বললেন ড. কামাল

জাতীয় ঐক্যের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘একদিনেই সব সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব না। সংলাপ চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আমাদের কথাগুলো প্রধানমন্ত্রীর কানে দিয়েছি। মানবেন কি মানবেন না, সেটি উনাদের ব্যাপার। আমাদের দাবির আন্দোলন চলবেই।’
শুক্রবার (২ নভেম্বর) রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা।
আগের রাতের ওই সংলাপ শেষে করা সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল জানিয়েছেন, তাদের বিশেষ কোনো প্রাপ্তি নেই।
এরই মধ্যে গণমাধ্যমে এসেছে, খালেদা জিয়ার মুক্তি, সংসদ ভেঙে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, ইভিএমে ভোট না নেয়াসহ ফ্রন্টের প্রায় সব কটি দাবিই নাকচ হয়েছে সংলাপে।
সংবিধানের প্রতি জোর দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন হবে, এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। তাহলে সংকট সমাধানের সুযোগ কোথায়- এমন প্রশ্নে ঐক্যফ্রন্ট নেতা বলেন, ‘অবশ্যই সংবিধান অনুযায়ী নিরপেক্ষ নির্বাচনের সুযোগ আছে। তবে সেটি কী পদ্ধতিতে হবে, তা নির্ভর করবে আলোচনার ওপর। সবার ঐক্যমতের ওপর।’
‘সংবিধান অনুযায়ী সেনাবাহিনী রাখা যায়। আলোচনায় অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে একমত হওয়া যায়। কাজেই আমরা আশা করি, সরকার বিষয়টি ভাববে এবং ফের সংলাপে বসবে।’
এর আগে সকালে মুন্সিগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে ওবায়দুল কাদেরও জানান, প্রয়োজনে সংক্ষিপ্ত পরিসরে ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আবার সংলাপ হতে পারে।
এই আলোচনার আয়োজন করা হয় জেল হত্যা দিবসকে সামনে রেখে। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে হত্যা করা হয়।
জনগণের ঐক্যের ওপর জোর দিয়ে ড. কামাল বলেন, ‘১৫ আগস্ট এবং ৩ নভেম্বর দেশকে পিছিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলেছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি৷ জনগণের মধ্যে ঐক্য থাকলে বাংলাদেশকে কেউ পিছিয়ে দিতে পারবে না।’
‘স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর জনগণের স্বার্থেই এই ঐক্য তৈরি হয়েছে। এতটা বছর পার হয়েছে, কিন্তু জনগণ স্বাধীনতার সুফল পায়নি। সোনার বাংলা গড়া ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলা গড়তেই এই জাতীয় ঐক্য তৈরি হয়েছে।’
ঐক্যফ্রন্ট নেতার দাবি, স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও জনগণ কী পেল না পেল তার হিসাব কষতে হচ্ছে। বলেন, ‘যারা উন্নয়নের কথা বলেন, তারাই বিদেশে টাকা পাচার করেছেন। কেউ আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে, আবার কেউ নিঃস্ব হয়েছে। তাই নতুন করে বাঁচতে জনগণের স্বার্থেই জাতীয় ঐক্য তৈরি করা হয়েছে। আগামী দিনে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে।’
এমএ